গোপালগঞ্জ-আমিন বাজার ৪০০ কেভি গ্রিডলাইন বাহ্যিক আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বন্ধ হয় ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের ভোগান্তিতে পড়েন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৫ জেলার মানুষ।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলছেন, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রিডলাইনের স্থিতিশীলতা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
শনিবার বিকেল পৌনে ৬ টায় গোপালগঞ্জ থেকে আমিন বাজার পর্যন্ত ৪০০ কেভি গ্রিডলাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। এই লাইনের সঙ্গে রামপাল, পায়রাসহ ৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র যুক্ত। যেখান থেকে মেলে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ। রাজধানীর বড় অংশের চাহিদা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সুরক্ষায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়।
এতে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আওতাধীন খুলনা, যশোর, বরিশালসহ ১৫টি জেলায় ১ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট হয়। পরে বিকল্প উপায়ে সরবরাহ শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিপিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘বাহ্যিকভাবে কিছু একটা.. গাছের ডালপালা পড়তে পারে, কোনো একটা ঘুড়ি ওড়াতে গেছে, কোনো কারণে..। এক্সটারনাল, এটা কিন্তু ইন্টারনাল কোনো কারণে না। এটা কিন্তু অল ওভার বাংলাদেশে ব্ল্যাকআউট হয়নি। রিলে কোঅর্ডিনেশনের ফল্টের কারণে শুধু ওই অঞ্চলেই হয়েছে।’
রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র গতকালই উৎপাদন শুরু করে। রামপাল, আরএনপিএল উৎপাদনে এসেছে আজ। চাহিদার তুলনায় গ্রিডলাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সহনীয় সীমার মধ্যে না থাকলে ঝুঁকিতে পড়ে উৎপাদন। বিচ্ছিন্ন হতে পারে গ্রিড সংযোগও।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা জানান, গ্রিডের সুরক্ষায় সঞ্চালন লাইনে বিশেষ ব্যবস্থা এফজিএমও'র আওতায় আনা হবে বিদ্যুৎকেন্দ্র।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম, এটার জন্য ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষ হয়েছে। এখন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থ সহায়তায় আমরা এটা ২ ফেইজে করছি, ৩০ কেভি ইশ্বরদীতে আর ভুলতাতে ৯০। এজন্য গ্রিডের স্ট্যাবিলিটি নিয়ে আমরাও কনসার্ন।’
এদিকে গ্রিড বিপর্যয়ে কারণ অনুসন্ধান ও সুপারিশ জানতে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।