গৃহযুদ্ধ কবলিত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য মানবিক করিডর স্থাপনে জাতিসংঘের প্রস্তাবে নীতিগত সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তীব্র সংঘাত চলছে। প্রদেশটির অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির কাছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সীমান্ত তাও নিয়ন্ত্রণ করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রাখাইনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা চান। এর অংশ হিসেবে একটি মানবিক প্যাসেজ তৈরির প্রস্তাবও দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি এটুকু আপনাদেরকে বলতে পারি, নীতিগতভাবে আমরা এটাতে সম্মত। কারণ, মানবিক প্যাসেজ হবে। আমাদের কিছু শর্ত আছে। এ শর্তে রাজি হলে আমরা অবশ্যই সহায়তা করবো, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অবশ্যই।’
অবশ্য শর্তগুলোর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
বাংলাদেশ সরকার নিজেদের স্বার্থেই আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তের পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। এটাতো আমরা অস্বীকার করতে পারব না। এখানে মিয়ানমারের নন-স্টেট অ্যাক্টরের নিয়ন্ত্রণে আমাদের সম্পূর্ণ সীমান্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। আমরা অফিসিয়াল যোগাযোগ অবশ্যই করতে পারি না একটা নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে, কিন্তু আমরা চাইলেও একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারব না। সেক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন সেটা আমরা নিশ্চয় করব।’
এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টার কথাও জানান উপদেষ্টা।