সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তার পরিচয় জানানো হয়নি।
বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, একই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ।
আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছেন জানিয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে (সাবেক স্পিকার) রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়।’
এনসিপির এই নেতা লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন? তা ইন্টেরিম,এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশেই ছিলেন আবদুল হামিদ। তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ (পুতুল) ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন তহমুল ইসলাম (২৭) নামের এক তরুণ।
মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। আবদুল হামিদের নামের বানান আঃ হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি।