ভারত থেকে বাংলাদেশে আর কাউকে পুশ ইন (ঠেলে পাঠানো) না করতে দিল্লিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতে থেকে থাকলে তাদের বৈধপথে (প্রপার চ্যানেল) পাঠাতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনে নবনির্মিত বোট ওয়ার্কশপ ও স্লিপওয়ের উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ভারত সরকার নদীপথে বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ ইন করেছে– এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের পুশ ইনের ঘটনা না হয় সেজন্য ভারত সরকারকে জানিয়েছি। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি ওই দেশে থেকে থাকে তাহলে তাদের বৈধপথে (প্রপার চ্যানেল) দেশে ফেরত পাঠাও। আমরা ভারতীয় নাগরিকদের প্রপার চ্যানেলে তাদের দেশে পাঠিয়ে থাকি সেভাবে তোমরা পাঠাও।’
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জলদস্যু, বনদস্যু– যেই ধরনের দস্যু আছে না কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসাই হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। যতদ্রুত সম্ভব তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সুন্দরবনে দস্যুতা যেন বাড়তে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুন্দরবনে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে দেওয়া হবে না।’
দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের খুনই বরদাস্ত করা হবে না। আপনাদের একটু বলতে চাই এখন মানুষও একটু অসহিষ্ণু হয়ে গেছে, আগে যেমন মানুষের ভেতরে মায়া–মমতা ছিল, এখন দেখা যাচ্ছে ছেলে ব্যাপারে খুন করে বসে। এর বড় সমস্যা হচ্ছে মাদকাসক্ততা। গ্রামেগঞ্জে মাদকে ভরে গেছে, এর থেকে আমরা কীভাবে পরিত্রাণ পাব? তাই আমাদের দেশকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এখন সমস্যা দুইটা তার একটা হলো মাদক, আরেকটা হলো আমাদের দুর্নীতি। এই দুইটা যদি কমানো যায় তাহলে দেশটা অনেক এগিয়ে যাবে। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মু. জসীম উদ্দিন খান, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, পুলিশ বিভাগ, বন বিভাগ ও মোংলা বন্দরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।