জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিকে রাজনৈতিক বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আর এ কারণে এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বুধবার ইসির পঞ্চম সভা শেষে ইসি সানাউল্লাহ দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ‘নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, স্থানীয় না জাতীয় নির্বাচন আগে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা নিয়ে বুধবার সভা করে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সভাকক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ কর্মকর্তারা।
একই সময় নির্বাচন ভবনের বাইরে চলছিল এনসিপির বিক্ষোভ। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবিতে চলছিল সেই বিক্ষোভ।
কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিকে রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে তুলে ধরে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং করবে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত, আমরা ফাইল ঘেটে দেখার চেষ্টা করেছি যে কখনও নির্বাচন কমিশন নিজেরা প্রণোদিত হয়ে পক্ষভুক্ত হয়েছে কিনা বা আপিল করেছে কিনা। আমরা এমন কোনো নজির পাই নি। সুতরাং আমাদের পক্ষভুক্ত হওয়ার বা আপিল করার, এই আইন আমাদেরকে সুযোগ দেয় না।’
নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে দাবি করে তিনি জানান, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মধ্যে কোনটি আগে-পরে হবে তা সরকারের উপরই নির্ভর করছে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘এই সিকোয়েন্সিং অব ইলেকশন, কোনটা আগে হবে বা কোনটা পরে হবে এটা তো নির্বাচন কমিশনের হাতে না, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবেন কোন নির্বাচন আগে হবে, পরে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’
কমিশন সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।