মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে অনিয়ম ও বৈষম্যের সুযোগ রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা জানান। লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতের স্বার্থে প্রয়োজনে দুই দেশের সমঝোতা স্মারকে পরির্বতন আনা হবে।’
আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হওয়া ২ দিনব্যাপী বৈঠকে মালয়েশিয়ার ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ডক্টর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিন উমার। এই বৈঠকেই দেশটিতে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকের উদ্বোধনী শেষে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, গেল বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, সব প্রক্রিয়া শেষ করেও যেতে না পারা প্রায় ৮ হাজার কর্মীকে প্রথম ধাপে বোয়েসেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘আট হাজার থেকে একটু কম কর্মীকে নেওয়ার জন্য একটা দ্রুত একটা প্রক্রিয়া বোয়েসেলের মাধ্যমে শুরু করার বিষয়ে ঊনারা মেনেছেন। এটাকে সিঙ্গেল এন্ট্রি থেকে মাল্টিপল এন্ট্রি কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এটা দ্রুত করা হবে।’
তিনি আরো জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ও বৈষম্যের সুযোগ রাখা হবে না।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, ‘বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি থাকায় মালয়েশিয়া সরকার সীমিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে আগ্রহী। তাই এই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক সংশোধন করার আলোচনা হবে।’
অতীতে যারা সিন্ডিকেট করেছে, তাদের মামলা প্রত্যাহার বা অন্য কোনো শর্ত মালয়েশিয়া সরকার দেয়নি বলেও জানান লুৎফে সিদ্দিকী।