আগামী বছরের এপ্রিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময়ে নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে, সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে দেশের স্থিতিশীলতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করতে হবে নির্বাচনের রোডম্যাপ।
ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তবর্তী সরকার। শুরু থেকেই বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের পরই নির্বাচন চায় নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আর অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণা আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন।
এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের অনেকেই চান না, আর কখনোই স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসুক। সেজন্য নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার চান তারা। রাজধানীর একজন বাসিন্দা বলেন, যে সংস্কার প্রয়োজন তা যদি এপ্রিলের মধ্যে হয়ে যায়, তবে নির্বাচন হতে পারে। আরেকজন বলেন, আন্দোলন হরতাল, এগুলো সমস্যা। ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়াই ভালো।
সাধারণের চাওয়া, নির্বাচন ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যাতে আর কেউ ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে। এ জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থকার আহ্বান তাদের। রাজধানীর একজন ভোটার বলেন, আগে ভোট দিতে পারিনি। আমরা যেন ভোট দিতে পারি। আরেকজন বলেন, ড. ইউনূস আরও পাঁচ বছর থাকুক, আমরা সেটাই চাই।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঠিক করা উচিৎ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সেরকম সহযোগিতা কেউ করছে না। রাজনৈতিক দল বা কেউই না।
রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া রাষ্ট্রপরিচালনার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।