ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটে অংশগ্রহণসহ নাগরিক কোয়ালিশনের ৪ দফা প্রস্তাবের সঙ্গে একমত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তবে প্রতি আসনে দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের কার্যকারিতা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। আজ রোববার রাজধানীতে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্বের প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন। সেখানে আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনসহ ৪টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সাধারণ আসনে সরাসরি ভোটে নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া সংরক্ষিত আসনেও প্রত্যক্ষ ভোটের দাবি করেন অনেকে। তবে, প্রতি আসনে দ্বৈত প্রতিনিধি রাখা এখনই সম্ভব নয় বলে জানান নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা হলো, আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হতে পারে না। আমাদের যে বর্তমান পদ্ধতি আছে, অনেক জায়গায় সাধারণ আসনের সাংসদ নারীদের যেতেই দেয় না। সে কারণে দুজন হলে এটা কার্যকর হবে কিনা, আমার সন্দেহ আছে।’
সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর দাবির সাথে বিএনপি একমত বলে জানান দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, ‘আপনারা দয়া করে সব রাজনৈতিক দলের প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দেন। কারণ নারীদের কোনো কমন বেসিক মর্যাদাই নেই বাংলাদেশে।’
নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সব রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান বক্তাদের। সাংবাদিক কাজী জেসিন বলেন, ‘৫০ শতাংশ নারী যদি উচ্চকক্ষে দাবি করি, সেটা ভেরি মাচ পসিবল। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি বলি ৩০ শতাংশ নারী নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে, সেটা না পেলে কোনোটাই লাভ হবে না। আমরা এমন যেন না চাই, যা আসলে পসিবল না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবনাটা হলো, অবশ্যই যাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলোতে মনোনয়ন না হয়ে সরাসরি নির্বাচন হয়। সরাসরি নির্বাচন হলে তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব উঠে আসার সুযোগ থাকে।’
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আরাও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মতামত দেন বক্তারা।