স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে, গত বছরের ১৮ জুলাই শহীদ হন শিক্ষার্থী শাকিল পারভেজ। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শাকিলের কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর বাবা। তাঁর প্রত্যাশা, তাঁর ছেলের মতো হাজারো শহীদের বিনিময়ে পাওয়া নতুন এই বাংলাদেশ যেন আর কখনও স্বৈরাচারের পথ অনুসরণ করে বিপথে না যায়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ শাকিল পারভেজ ছিলেন মানারাত ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিন বোনের এক ভাই। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন গাজীপুরের টঙ্গীতে। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন তাঁর বাবা।
শহীদ শাকিল পারভেজের বাবা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিল শাকিল। গত বছর ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে নির্বিচার গুলি চালায় পুলিশ। সেখানেই নিহত হয় সে।’
শাকিলের সহপাঠীরা জানান, গাজীপুর ব্লাড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন শাকিল। বহু মানুষকে রক্তদান করেছেন। ছিলেন মানারাত ইউনিভার্সিটির ফুটবল দলের সদস্য। অভিনয়সহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও এগিয়ে ছিলেন।
শাকিল হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন তাঁর বাবা। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে শাকিলের সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, যেন আর কোনো তরুণ এমন নির্মমতার শিকার না হয়।