জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিতে আহতদের মধ্যে অর্ধশত এখনও রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘ ১১ মাসের বেশি সময় একাধিক অস্ত্রোপচারের পরও সুস্থ হননি অনেকে। এদের অনেকেই হারিয়েছেন শরীরের কোনো অঙ্গ। কেউ শরীরে বুলেট বয়ে বেড়াচ্ছেন দিনের পর দিন।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা সোহানুর রহমান। গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ছাব্বিশ বছরের সোহান। তিনি বলেন, ছররা গুলি ছড়িয়ে পড়ে পায়ের গোড়ালি থেকে শরীরজুড়ে। কয়েকটি নার্ভ শুকিয়ে হাত ও পায়ের কর্মক্ষমতা কমে গেছে।
একই ব্লকে চিকিৎসাধীন পোষাক শ্রমিক নাজির হোসেন। তিনি জানান, হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১১ মাসেরও বেশি সময় বুলেট বয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশের শয্যায় আরেক যোদ্ধা শান্ত। তাঁরও নার্ভ শুকিয়ে গেছে।
আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানের কয়েক যোদ্ধা। কবে বাড়ি ফিরবেন সেই প্রশ্ন তাঁদের।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা.আবুল কেনান বলছেন, সাধ্যমতো চিকিৎসা করা হচ্ছে। বুলেটের আঘাতে অনেকের শরীরের ক্ষত তীব্র হওয়ায় সময় লাগবে সুস্থ হতে। আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।