মিয়ানমারের শক্তি প্রদর্শনকে হালাকাভাবে দেখা ঠিক হচ্ছে না: বিশ্লেষকরা

আইন না মেনে বাংলাদশ সীমান্তে মিয়ানমারের বারবার সামরিক শক্তি প্রদর্শনকে হালাকাভাবে দেখা ঠিক হচ্ছে না বলে মনে করেন কুটনীতিকরা। তাদের মত মিয়ানমারের এ ধরণের আগ্রাসনের বিপরীতে বাংলাদেশেরও শক্ত সামরিক অবস্থান নেয়ার সময় হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার পরামর্শও তাদের।

আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে সীমান্তের দেড়শো গজের মধ্যে সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সমঝোতাও রক্ষা করেনি। উল্টো নো ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে দেশটির সেনারা।

এ নিয়ে পতাকা বৈঠক করেছে দুই দেশ। যেখানে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে গুলি ছোঁড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ অবস্থায় দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কই যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

কূটনীতিকরা বলছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশ। মিয়ানমারকে সমুচিত জবাব না দেয়া দুর্বলতা প্রকাশ বলে মনে করছেন তারা।

শক্ত ভাবে মিয়ানমারকে মোকাবেলা করলে জাতিসংঘসহ অনেক রাষ্ট্রই বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে। এছাড়া, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সাথেও সমঝোতার তাগিদ বিশ্লেষকদের।