প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৮, ০৯:৫৪ এএমআপডেট : ০৪ মার্চ ২০১৮, ০২:৪৭ পিএম
দেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণকারীদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম হামলার শিকার অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এর আগেও শিক্ষক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, প্রকাশকরা হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব আর সরকারের উদাসীনতায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে হামলাকারীরা। নিরাপত্তাহীনতায় দেশ ছেড়েছে অনেকে।
কে হবে পরবর্তী টার্গেট এই শিরোনামে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় হত্যার হুমকিতে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তিটিই ছিলেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। ঘোষণার প্রায় দুই বছর পর সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান চলার সময় প্রকাশ্যে হামলার শিকার হলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বরাবরই জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন এই শিক্ষাবিদ। এবারের বইমেলায় তার ওপর হামলার হুমকিও।
লেখক-মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারীদের ওপর এ ধরনের হামলার ধারাবাহিকতা শুরু হয় অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে দিয়ে। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বেরুনোর পথে হামলার শিকার হন তিনি। প্রাণে বেঁচে গেলেও হামলার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি। স্পষ্টবাদী এই লেখক পরে জার্মানিতে মারা যান।
এরপর ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দারকে। একই কায়দায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন হামলার শিকার হন প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদুর রশিদ টুটুল।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে পরে জঙ্গি হামলায় নিহত হন আরো ওয়াশিকুর, অনন্ত বিজয়সহ কয়েকজন ব্লগার এবং প্রকাশক। মামলাগুলোর তদন্তে ঘুরে ফিরে আসে আনসার আল ইসলামের স্লিপার সেল সদস্যদের নাম। শুধু ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার বাদে বেশিরভাগ হামলা মামলার তদন্তই এখনো শেষ হয়নি। হত্যার হুমকি পাওয়া অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় নীরবে দেশ ছেড়েছেন।
কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক কোনো নৈরাজ্য, কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী...
বিএনপির সাবেক মহাসচিব, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় কে এম ওবায়দুর রহমানের নগরকান্দার বাসভবন সংলগ্ন তাঁর...
মাজেদা বেগমের মেয়ের জামাতা মো. আশরাফ আলী জানান, মাজেদা বেগমের ছেলে সন্তান না থাকায় বাসায় একাই বসবাস করতেন। আজ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকার কর্মস্থল থেকে স্ত্রী ফারিয়া সুলতানা...
মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারীর ওপর হামলার বিচার হয়নি
কে হবে পরবর্তী টার্গেট এই শিরোনামে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় হত্যার হুমকিতে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তিটিই ছিলেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। ঘোষণার প্রায় দুই বছর পর সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান চলার সময় প্রকাশ্যে হামলার শিকার হলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বরাবরই জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন এই শিক্ষাবিদ। এবারের বইমেলায় তার ওপর হামলার হুমকিও।
লেখক-মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারীদের ওপর এ ধরনের হামলার ধারাবাহিকতা শুরু হয় অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে দিয়ে। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বেরুনোর পথে হামলার শিকার হন তিনি। প্রাণে বেঁচে গেলেও হামলার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি। স্পষ্টবাদী এই লেখক পরে জার্মানিতে মারা যান।
এরপর ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দারকে। একই কায়দায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন হামলার শিকার হন প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদুর রশিদ টুটুল।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে পরে জঙ্গি হামলায় নিহত হন আরো ওয়াশিকুর, অনন্ত বিজয়সহ কয়েকজন ব্লগার এবং প্রকাশক। মামলাগুলোর তদন্তে ঘুরে ফিরে আসে আনসার আল ইসলামের স্লিপার সেল সদস্যদের নাম। শুধু ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার বাদে বেশিরভাগ হামলা মামলার তদন্তই এখনো শেষ হয়নি। হত্যার হুমকি পাওয়া অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় নীরবে দেশ ছেড়েছেন।