প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৫৭ এএমআপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৯ পিএম
চৌদ্দ বছর অপেক্ষার পর একুশে আগস্ট হামলার মামলার রায় হচ্ছে কাল। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন অনেকেই। গতমাসে শেষ হয় এই ঘটনায় হত্যা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলার বিচার।
২১ আগস্ট বিকাল। রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। ঘটনার পরদিন মামলা হয় মতিঝিল থানায়। ওই সময় খালেদা জিয়ার সরকার জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করে। তবে ২০০৭ সালে ক্ষমতার পালাবদলে তদন্তের মোড় ঘোরে। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই মূলত এই গ্রেনেড হামলায় চার দলীয় জোট সরকারের সংশ্লিষ্টতা ধরা পড়ে।
২০০৮ জুনে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন আহমদ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যেই হয় হামলা। শুরু হয় বিচারকাজ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্তের আবেদন করা হয়।
২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ। এতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ নতুন ৩০ জনকে আসামি করা হয়। আসামি করা হয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎকালীন সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদেরও।
হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনের দুই মামলায় আসামি করা হয় মোট ৫২ জনকে। পরে অন্য মামলায় মুজাহিদ, মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হলে এই মামলা থেকে তাদের নাম বাদ পড়ে। এছাড়া পলাতক ১৮ জন। বাকিরা কারাগারে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন ১২ জন। বিচার কার্যক্রম শেষে এ বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায়ের দিন ঠিক করেন। ওইদিনই জামিনে থাকা তিন সাবেক পুলিশ প্রধানসহ আটজনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়।
জুলাই আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানিয়েছিলেন সাবেক কর্মকর্তারা। এরপর আর জনতার দিকে রাইফেল তাক করেনি বাহিনী। এ কথা জানিয়েছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা। রাজধানীতে মঙ্গলবার বিকেলে জুলাই...
জাতীয় পর্যায়ে অবদানের জন্য এবছর ৬ জনকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজ সেবায়...
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তার নির্বাচন বাতিলের বিধান আরপিওতে যুক্ত করার প্রস্তাব দেবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, কোনো দল ও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণে...
গুজব নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি মন্তব্য করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।...
ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাজারে আগত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেরা কিছু স্মার্টফোনের সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিতেই তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনটি। বসুন্ধরা সিটির মোবাইল মার্কেট ঘুরে তৈরি দুই পর্বের...
সংস্কার ও বিচার ছাড়া কোনো একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য শুধু নির্বাচন দিলে তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বাংলা ভাষার ব্যাপারে পশ্চিমা শাসকবর্গ একগুঁয়েমীর পরিচয় দিয়েছে প্রথমটায়। হয়তো তার পেছনে ভয় ছিল, স্বার্থ নষ্ট হবার ভয়, কিন্তু পরে যখন তারা দেখেছে যে এ-আন্দোলন কিছুতেই স্তব্ধ হবার নয় তখন ১৯৫৬ সালে এবং...
একুশে আগস্ট হামলা মামলার রায় কাল
২১ আগস্ট বিকাল। রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। ঘটনার পরদিন মামলা হয় মতিঝিল থানায়। ওই সময় খালেদা জিয়ার সরকার জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করে। তবে ২০০৭ সালে ক্ষমতার পালাবদলে তদন্তের মোড় ঘোরে। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই মূলত এই গ্রেনেড হামলায় চার দলীয় জোট সরকারের সংশ্লিষ্টতা ধরা পড়ে।
২০০৮ জুনে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন আহমদ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যেই হয় হামলা। শুরু হয় বিচারকাজ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্তের আবেদন করা হয়।
২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ। এতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ নতুন ৩০ জনকে আসামি করা হয়। আসামি করা হয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎকালীন সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদেরও।
হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনের দুই মামলায় আসামি করা হয় মোট ৫২ জনকে। পরে অন্য মামলায় মুজাহিদ, মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হলে এই মামলা থেকে তাদের নাম বাদ পড়ে। এছাড়া পলাতক ১৮ জন। বাকিরা কারাগারে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন ১২ জন। বিচার কার্যক্রম শেষে এ বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায়ের দিন ঠিক করেন। ওইদিনই জামিনে থাকা তিন সাবেক পুলিশ প্রধানসহ আটজনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়।
/এম-আই/