আবারো দণ্ডিত খালেদা, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের জেল
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৭ পিএমআপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:১৪ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো খালেদা জিয়ার। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে তিনিসহ ৪ আসামিকে এই সাজা দিয়েছে আদালত। আসামি হারিছ চৌধুরী পলাতক হলেও খালেদা জিয়া, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আছেন কারাগারে। দুপুরে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বসানো বিশেষ জজ আদালত থেকে এই রায় দেন বিচারক মোহম্মদ আখতারুজ্জামান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার ৮ মাসের মাথায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের জেলসহ ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড হলো খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয়েছে অন্য ৩ আসামি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম।
এই রায়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ট্রাস্টের জন্য কেনা কাকরাইল বাজে মৌজার ৪২ কাঠা জমি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারসহ ১৫টি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত। এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে, খালেদা জিয়া যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা কাম্য নয়। দুদক তার অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের।
তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ। এতে মামলার রায় ঘোষণায় আর বাধা থাকে না। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অভিযোগ করেন, কোথাও আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন, ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছেন উচ্চ আদালতেও।
৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। পরের বছর ১৬ জানুয়ারি ওই চারজনকে আসামি করে দেঙয়া হয় অভিযোগপত্র। ২০১৪র ১৯ মার্চ শুরু হয় আসামিদের বিচার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বলে রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে উপস্থিত ছিলেন অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুল। আর হারিস চৌধুরী পলাতক।
ঢাকা বিশেষ জজ আদালত–৮ এর সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমির হোসেনকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ...
শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই শুরু হল তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া। আগামী ১ জুলাই হবে অভিযোগ গঠনের শুনানি। সাবেক শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিতে রাষ্ট্রকে আদেশ দিয়েছে...
ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালীন আশুলিয়ায় হত্যার পর ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোর মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানির পরবর্তী তারিখ ২ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ জুন...
শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। এরইমধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের জন্য দুই কিস্তিতে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একইসঙ্গে, দুই কর্মসূচির চলমান ঋণচুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ...
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চোর সন্দেহে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের চর তেলিজান গ্রামে এই ঘটনা হয়। সম্প্রতি ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ...
আবারো দণ্ডিত খালেদা, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের জেল
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার ৮ মাসের মাথায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের জেলসহ ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড হলো খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয়েছে অন্য ৩ আসামি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম।
এই রায়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ট্রাস্টের জন্য কেনা কাকরাইল বাজে মৌজার ৪২ কাঠা জমি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারসহ ১৫টি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত। এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে, খালেদা জিয়া যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা কাম্য নয়। দুদক তার অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের।
তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ। এতে মামলার রায় ঘোষণায় আর বাধা থাকে না। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অভিযোগ করেন, কোথাও আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন, ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছেন উচ্চ আদালতেও।
৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। পরের বছর ১৬ জানুয়ারি ওই চারজনকে আসামি করে দেঙয়া হয় অভিযোগপত্র। ২০১৪র ১৯ মার্চ শুরু হয় আসামিদের বিচার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বলে রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে উপস্থিত ছিলেন অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুল। আর হারিস চৌধুরী পলাতক।
/এন-এইচ/