প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৭ এএমআপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪৬ পিএম
ডেনমার্কের উন্নয়ন মন্ত্রী উলা টরনেস
প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশন নিশ্চিতের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে রাখাইনে নির্যাতনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বলছে ডেনমার্ক। আর সে বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী উলা টরনেস। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহ মৌলিক চাহিদা মেটাতে ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত তহবিল দেয়ার কথাও জানান তিনি।
তিন দিনের সফর শেষে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে আসেন ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী উলা টরনেস এবং জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি। এসময়, নিজ দেশে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ ও সরকারের প্রশংসা করেন তারা।
এর আগে, হোটেল ওয়েস্টইনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তারা। আশ্রয় শিবিরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, সেখানে রোহিঙ্গাদের জীবন মান উন্নত হচ্ছে। এসময় প্রত্যাবাসন প্রশ্নে উলা টরনেস বলেন, তারা চান পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাই অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে স্বদেশে ফিরুক।
ডেনমার্ক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী উলা টরনেস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে আমরা। প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করাটাও জরুরি। পাশাপাশি রাখাইনে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতেও বলছি মিয়ানমারকে।
প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকারকে এখনও অনেক কাজ করতে হবে বলে মনে করেন জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক। জানান, মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্তদের সমর্থন করতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি বলেন, রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। তবে সুযোগ পেলে সেখানে সরাসরি কাজ করতে আগ্রহী আমরা। আমি মনে করি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যত ও স্থানীয়দের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও স্বস্তফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন উলা টরনেস ও ডেভিড বেসলি।
রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রস্তুতি শেষ করা গেলে রমজানের আগেই...
এর আগে বাংলাদেশ সময় ১টায় হোটেলের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান। দুপুর ২টার কিছু আগে হোটেল পৌঁছান তিনি। তারেক রহমানকে হোটেলে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর...
চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত এক সপ্তাহে (৫ থেকে ১২ জুন) ২৭১ জনকে আটক করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ...
শুধু একজনই না। এমন অনেকের নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে। প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গুম করে নির্যাতন ও হত্যার ৬৭...
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার চারাবুনিয়া গ্রামে দাদি কুলসুম বিবি (১০৫) ও সৎ মা সহিদা বেগমকে (৫০) দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে মো. আল আমিন (২৫) নামের এক যুবক। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার...
সাভারের চামড়া শিল্পনগরী চালু হয়েছে ৮ বছর আগে। কিন্তু এখনো সেখানে গড়ে ওঠেনি কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র কিংবা শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধা। ফলে দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার সময় শ্রমিকদের ছুটতে হয় দূরের সাভার বা...
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মো. হুমায়ন কবীর (২১) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার সহনাটি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড হয়।
জুলাই সনদ ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা মানে বিএনপির কাছে আত্মসমর্পণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। আজ শুক্রবার লন্ডনে বিএনপির...
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় ডেনমার্ক
তিন দিনের সফর শেষে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে আসেন ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী উলা টরনেস এবং জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি। এসময়, নিজ দেশে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ ও সরকারের প্রশংসা করেন তারা।
এর আগে, হোটেল ওয়েস্টইনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তারা। আশ্রয় শিবিরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, সেখানে রোহিঙ্গাদের জীবন মান উন্নত হচ্ছে। এসময় প্রত্যাবাসন প্রশ্নে উলা টরনেস বলেন, তারা চান পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাই অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে স্বদেশে ফিরুক।
ডেনমার্ক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী উলা টরনেস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে আমরা। প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করাটাও জরুরি। পাশাপাশি রাখাইনে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতেও বলছি মিয়ানমারকে।
প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকারকে এখনও অনেক কাজ করতে হবে বলে মনে করেন জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক। জানান, মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্তদের সমর্থন করতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি বলেন, রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। তবে সুযোগ পেলে সেখানে সরাসরি কাজ করতে আগ্রহী আমরা। আমি মনে করি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যত ও স্থানীয়দের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও স্বস্তফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন উলা টরনেস ও ডেভিড বেসলি।
/এইচ.এ/