প্রকাশ : ০৫ জুন ২০১৯, ০২:৫৭ পিএমআপডেট : ০৫ জুন ২০১৯, ০৩:০৯ পিএম
শিশুটির নাম দেয়া হয়েছে 'মেহরিন'
ঢাকা শিশু হাসপাতালের শৌচাগারে ফেলে যাওয়া নবজাতকের দায়িত্ব নিতে এরই মধ্যে অসংখ্য আবেদন পড়েছে আদালতে। হাজারেরও বেশি দম্পতি যোগাযোগ করছেন থানায়। অথচ নাড়ীছেড়া ধনের দায়িত্ব এড়াতে শিশুটিকে ফেলে দেয়া হয় অনিশ্চয়তায়। আর সেই শিশুকে সন্তান হিসেবে পেতে মরিয়া, রক্তের সম্পর্ক নেই এমন অনেকেই।
চোখে-মুখে সে কী অপার মুগ্ধতা। ঠিক যেন চাঁদের কপালেই চাঁদ উঠেছে। সে চাঁদের নাম দেয়া হয়েছে মেহরিন, যার অর্থ অমূল্য। কিন্তু অমূল্য এই ধনকেই ঢাকা শিশু হাসপাতালে ফেলে রেখে যায় কে বা কারা। তারপর থেকে তাকে আজিমপুরে ছোট মনি নিবাসে রাখা হয়।
শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহীদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী কাওসার আহমেদ। মেহরিনের দায়িত্ব নিতে ছুটছেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে। কাওসার আহমেদ বলেন, "তার জন্য ত্রিশ লাখ টাকার এফডিআর দেব। মেয়েকে ডাক্তার বানাতে চাই। কানাডায় পড়াবো বলে ঠিক করেছি। ওকে না পেলে খুব কষ্ট পাব।"
কাওসারের মতো প্রতিদিন অনেকেই আসেন ছোটমনি নিবাসে। রাজনৈতিক নেতা, আমলা, উচ্চ পদস্থ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা এবং প্রবাসীসহ হাজারের বেশি মানুষ মেহরিনের অভিভাবকত্ব নিতে যোগাযোগ করেছেন শেরে বাংলা থানায়। ইতোমধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলাও করেছেন অনেকে।
শিশুটির দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এক গৃহিণী বলেন, "তার পরিবারটিও মেহরিনের দায়িত্ব নিতে চায়। তার জন্য সাজানো হয়েছে একটি কক্ষ। কিনে রাখা হয়েছে খেলনা, কাপড় এমনকি পড়ার টেবিলও।"
সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে রাখা হয়েছে মেহরিনকে। অধিদপ্তর বলছে, আইন অনুযায়ী তার অভিভাবকত্ব ঠিক করে দেবে আদালত। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক আবু মাসুদ বলেন, "ঠিকমতো খাচ্ছে-ঘুমাচ্ছে, ভাল আছে মেহরিন। নি:সন্তান দম্পতি হওয়াসহ সব শর্ত যারা পুরণ করবে, আদালত তাকে অভিভাবকত্ব দিবে।"
গত ১৪ মে ঢাকা শিশু হাসপাতালের টয়লেটে শিশু মেহরিনকে রেখে যায় দুই নারী। কী কারণে কেন রেখে গেছে সেই রহস্য এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন হজ ফ্লাইট-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার তাগিদ দিয়েছেন নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরাও। তারা বলছেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা সরকারে টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেবে না নেপিদো।
হাজিরা যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে হজ্জ পালন করতে পারেন সে লক্ষ্যেই লাব্বাইক নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান...
বজ্রপাতে একদিনে দেশের ৫ জেলায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২ জন। নিহতদের মধ্যে ৪ জন কুমিল্লার, ৩ জন কিশোরগঞ্জের, ২ জন নেত্রকোণার এবং ১ জন করে মারা গেছেন চাঁদপুর ও সুনামগঞ্জে।
পরকীয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ও ইমাম ওমর ফারুককে (৩৫) পিটিয়েছে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী শহিদুল ইসলাম। মারধরের পর তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার সাথে ওই নারীর কোন শারীরিক সম্পর্ক নেই।...
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মো. শাকিল (২৮) নামে যুবদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কোপানো হয়েছে তার ছোট ভাইকে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারের...
আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সপরিবারে নানা রকম বাঙালিয়ানা পোশাক পরিধানে অসংখ্য পরিবারের উপস্থিতিতে উৎসবস্থল পরিণত হয় মিলন মেলায়। এ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।
শৌচাগারে পাওয়া শিশু: দত্তকে আগ্রহী হাজারো দম্পতি
চোখে-মুখে সে কী অপার মুগ্ধতা। ঠিক যেন চাঁদের কপালেই চাঁদ উঠেছে। সে চাঁদের নাম দেয়া হয়েছে মেহরিন, যার অর্থ অমূল্য। কিন্তু অমূল্য এই ধনকেই ঢাকা শিশু হাসপাতালে ফেলে রেখে যায় কে বা কারা। তারপর থেকে তাকে আজিমপুরে ছোট মনি নিবাসে রাখা হয়।
শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহীদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী কাওসার আহমেদ। মেহরিনের দায়িত্ব নিতে ছুটছেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে। কাওসার আহমেদ বলেন, "তার জন্য ত্রিশ লাখ টাকার এফডিআর দেব। মেয়েকে ডাক্তার বানাতে চাই। কানাডায় পড়াবো বলে ঠিক করেছি। ওকে না পেলে খুব কষ্ট পাব।"
কাওসারের মতো প্রতিদিন অনেকেই আসেন ছোটমনি নিবাসে। রাজনৈতিক নেতা, আমলা, উচ্চ পদস্থ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা এবং প্রবাসীসহ হাজারের বেশি মানুষ মেহরিনের অভিভাবকত্ব নিতে যোগাযোগ করেছেন শেরে বাংলা থানায়। ইতোমধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলাও করেছেন অনেকে।
শিশুটির দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এক গৃহিণী বলেন, "তার পরিবারটিও মেহরিনের দায়িত্ব নিতে চায়। তার জন্য সাজানো হয়েছে একটি কক্ষ। কিনে রাখা হয়েছে খেলনা, কাপড় এমনকি পড়ার টেবিলও।"
সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে রাখা হয়েছে মেহরিনকে। অধিদপ্তর বলছে, আইন অনুযায়ী তার অভিভাবকত্ব ঠিক করে দেবে আদালত। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক আবু মাসুদ বলেন, "ঠিকমতো খাচ্ছে-ঘুমাচ্ছে, ভাল আছে মেহরিন। নি:সন্তান দম্পতি হওয়াসহ সব শর্ত যারা পুরণ করবে, আদালত তাকে অভিভাবকত্ব দিবে।"
গত ১৪ মে ঢাকা শিশু হাসপাতালের টয়লেটে শিশু মেহরিনকে রেখে যায় দুই নারী। কী কারণে কেন রেখে গেছে সেই রহস্য এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
//আরএইচ//