রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি টাকা

ঋণ জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, আবারও করের টাকায় ব্যাংকগুলোকে সংকট থেকে বের করে আনতে চায় সরকার। এজন্য আগামী বাজেটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে ব্যবস্থাপনায় উন্নতি আনার বদলে উল্টো সরকারের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে ব্যাংকগুলোর।

দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয়ায় ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসেবে, মোট ৯৪ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণের অর্ধেকই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের।

ঋণ কেলেঙ্কারি ও খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পারায় বারবার মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো। ঘাটতি মোকাবিলায় আবারো সরকারের কাছে মূলধন চেয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬ ব্যাংক। তাই এ খাতের জন্য আগামী বাজেটে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখছে সরকার। জনগণের করের টাকায় বারবার মূলধন পূরণের সমালোচনা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

ঘাটতি পূরণে গত ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা পেয়েছে বেসিক ব্যাংক। ৩ হাজার ৩শ কোটি টাকা পেয়েছে সোনালি ব্যাংক। অগ্রণী ব্যাংক পেয়েছে ১ হাজার ৮১ কোটি টাকা।

২০০৯ থেকে এবছর পর্যন্ত ১০ বছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মোকাবেলায় বাজেটে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

/এন-এইচ/