প্রকাশ : ১২ জুন ২০১৯, ১২:৩৪ পিএমআপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ০৩:৫১ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে মিয়ানমার, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করল বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার তার প্রতিশ্রুতি রাখছে না। সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
দুই বছরেও এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। আপস..২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। আপস..বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে এই মুর্হুতে কক্সবাজার ও তার আশপাশের এলাকার আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে প্রায় এগারো লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার এখন দাবি করছে এ সংখ্যা ৫ লাখের বেশি নয়।
একই সাথে দেশটির মন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ ও কাজের গতি কম। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আপস..জানান ঢাকা-নেপিদো চুক্তি মোতাবেক দু বছরের মধ্যেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি রাখছে না মিয়ানমার। তবে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আবারও প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, এটি একটি জটিল অবস্থা, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়েই এ সমস্যা সমাধান খুঁজতে হবে। মিয়ানমারের ওপর আমাদের চাপ অব্যহত থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেঞ্চা টিয়েরিংক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে আছি এবং আগামীতেও থাকবো। এ সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ আরও বাড়াতে হবে।
রাখাইনের ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র দুটো গ্রামে জরিপ চালিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির যে চিত্র মিয়ানমার আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরছে তার সমালোচনা করেন মন্ত্রী। অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিথ্যাচারের পাশাপাশি কালক্ষেপন করছে নেপিদো। তারা কোনো কথাই রাখছে না। এমনকি সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদেরও ফিরিয়ে নিচ্ছে না তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরেও রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমেরিকার উচ্চ শুল্ক আরোপ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিকে। একই সাথে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি মেটানোর ওপরও জোর দিয়েছে ঢাকা। আমেরিকার দুই উপসহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীর...
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে বের করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখায় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি ধরে রাখতে নতুন করে আবেদন ও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে বলে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর...
একাত্তরে গণহত্যার ক্ষমা চাওয়া, বাংলাদেশের টাকা ফেরত নেওয়া ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে পাকিস্তানের কাছে। বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠক...
৯৫ বছর আগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ৪ দিন চট্টগ্রামকে স্বাধীন রেখেছিল বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের একটি দল।
আরও ভিডিও দেখতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি ক্লিক...
তিন বছর আগে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ঘটে যাওয়া বহুচর্চিত ‘টিপ–কাণ্ড’ নতুন মোড় নিয়েছে। এবার সেই ঘটনার জেরে ড. লতা সমাদ্দার ছাড়াও শোবিজ অঙ্গনের ১৬ জন তারকাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন...
নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে চাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তারা। বলছেন, যত বিভেদই থাকুক, নির্বাচনের জন্য...
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অপপ্রচারে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুই বছরেও এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। আপস..২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। আপস..বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে এই মুর্হুতে কক্সবাজার ও তার আশপাশের এলাকার আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে প্রায় এগারো লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার এখন দাবি করছে এ সংখ্যা ৫ লাখের বেশি নয়।
একই সাথে দেশটির মন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ ও কাজের গতি কম। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আপস..জানান ঢাকা-নেপিদো চুক্তি মোতাবেক দু বছরের মধ্যেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি রাখছে না মিয়ানমার। তবে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আবারও প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, এটি একটি জটিল অবস্থা, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়েই এ সমস্যা সমাধান খুঁজতে হবে। মিয়ানমারের ওপর আমাদের চাপ অব্যহত থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেঞ্চা টিয়েরিংক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে আছি এবং আগামীতেও থাকবো। এ সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ আরও বাড়াতে হবে।
রাখাইনের ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র দুটো গ্রামে জরিপ চালিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির যে চিত্র মিয়ানমার আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরছে তার সমালোচনা করেন মন্ত্রী। অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিথ্যাচারের পাশাপাশি কালক্ষেপন করছে নেপিদো। তারা কোনো কথাই রাখছে না। এমনকি সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদেরও ফিরিয়ে নিচ্ছে না তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরেও রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
/এম-আই/