মেজর (অব:) সিনহার মৃত্যুতে জড়িতদের শাস্তির দাবি

মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুতে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) ক্লাবের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর খন্দকার নুরুল আফসার। বুধবার বিকেলে মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সস্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুতে নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রাওয়া ক্লাবের সভাপতি মন্তব্য করেন, ঘটনার সময় সিনহার যে পোশাক পরা ছিল তা সেনাবাহিনীর পোশাক নয়। সিনহার কাছে তখন পিস্তল ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি গুলি থাকতো, তবে আত্মরক্ষার্থে গুলি করতেন। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর নিরাপত্তা জোরদার করারও পরামর্শ দেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর খন্দকার নুরুল আফসার।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাশেদ নিজের পরিচয় দিয়ে তাদের তল্লাশিতে বাধা দেন। পরে 'পিস্তল বের করলে' চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। তবে পুলিশের এমন ভাষ্যে নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক সেনা কর্মকর্তার এক সঙ্গীর বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশের ভাষ্যের কিছুটা অমিল পাওয়া যায়। এমন প্রেক্ষাপটে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার সাহা ও বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া কক্সবাজারের আদালতে এই মামলা করেন।

//আরএইচ//