প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২০, ১০:০৯ এএমআপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২০, ১০:৫১ এএম
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৪৪ বছর আগের এই দিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় হত্যা করা হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সাথে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ পুত্রবধুসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সূচনা হয় একটি কালো অধ্যায়।
পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট। দিনটি ছিল শুক্রবার। সেসময় শনি ও রবিবার রাতে মহড়া চলতো সেনাবাহিনীতে। তাই শুক্রবার রাতে যখন ট্যাঙ্ক চলাচল শুরু হলো কেউই সন্দেহ করেনি। আর্মার্ড ও আর্টিলারি দুটি বিভাগের অন্তত ১০০ সেনা সদস্য বেরিয়ে আসে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে। তবে মূল পরিকল্পনার কথা জানতো হাতে গোনা কয়েকজন।
আর্মার্ড অর্থাৎ ট্যাঙ্কের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর ফারুক আর আর্টিলারির নেতৃত্বে ছিলেন মেজর রশিদ। তাদের কমান্ডে ফজরের নামাজের সময় অর্থাৎ ভোর পাঁচটা থেকে সোয়া পাঁচটার দিকে বাহিনীটি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়।
কিছু দূর এগোনোর পর বাহিনীটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি গ্রুপ রওনা হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির দিকে। আর দুটির একটি রওনা হয় মিন্টো রোডে আব্দুর রব সেরনিয়াবাদের বাসার দিকে এবং আরেকটি গ্রুপ যায় ধানমন্ডি ১৩/১-এ শেখ ফজলুল হক মনির বাসায়।
এদিকে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একদিন আগেই অর্থাৎ ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীকেও বদল করা হয়। ১৫ আগষ্ট ভোরে হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। প্রথমেই শেখ কামালকে হত্যা করে ঘাতকরা। গুলির শব্দে নিচে নেমে আসেন বঙ্গবন্ধু। গুলি করে ঝাঁঝড়া করে দেয়া হয় জাতির পিতাকে। তার নিথর দেহ লুটিয়ে পড়ে এক তলার সিঁড়িতে। সেই সাথে শেষ হয় একটি অধ্যায়ের।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই থেমে থাকেনি ঘাতকেরা। দোতলায় উঠে গুলি করে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবকে। একে একে অন্য দুই ছেলে শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের ও এক নিরাপত্তা রক্ষীসহ নয় জনকে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ধানমন্ডির বাসায় হামলা চালায়। সেখানে মারা যান মনি ও তার অন্তঃসত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি।
আবদুর রব সেরনিয়াবাদ সে সময় মিন্টো রোডের মন্ত্রী পাড়ায় থাকতেন। ঘাতকদের একটি গ্রুপ সে বাড়িতেও হামলা চালায়। হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী সেরনিয়াবাদ ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয় জনকে।
বঙ্গবন্ধুর বাসায় হামলার খবর পেয়ে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল ধানমন্ডিতে ছুটে যান। পথেই তাকে প্রাণ দিতে হয় ঘাতকের গুলিতে।
১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে আটটার দিকে রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। একই সঙ্গে সারা দেশে জারি হয় কারফিউ। ষড়যন্ত্রকারীরা কাউকে টেরই পেতে দেয়নি এত বড় একটা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে রাজধানীতে।
সেদিনই বেলা ১১ টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন খন্দকার মোশতাক। গঠন করা হয় মন্ত্রিসভা। এভাবেই জাতির জনককে হত্যা করে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করে খুনিরা।
রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রস্তুতি শেষ করা গেলে রমজানের আগেই...
এর আগে বাংলাদেশ সময় ১টায় হোটেলের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান। দুপুর ২টার কিছু আগে হোটেল পৌঁছান তিনি। তারেক রহমানকে হোটেলে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর...
চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত এক সপ্তাহে (৫ থেকে ১২ জুন) ২৭১ জনকে আটক করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ...
শুধু একজনই না। এমন অনেকের নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে। প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গুম করে নির্যাতন ও হত্যার ৬৭...
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার চারাবুনিয়া গ্রামে দাদি কুলসুম বিবি (১০৫) ও সৎ মা সহিদা বেগমকে (৫০) দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে মো. আল আমিন (২৫) নামের এক যুবক। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার...
সাভারের চামড়া শিল্পনগরী চালু হয়েছে ৮ বছর আগে। কিন্তু এখনো সেখানে গড়ে ওঠেনি কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র কিংবা শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধা। ফলে দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার সময় শ্রমিকদের ছুটতে হয় দূরের সাভার বা...
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মো. হুমায়ন কবীর (২১) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার সহনাটি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড হয়।
জুলাই সনদ ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা মানে বিএনপির কাছে আত্মসমর্পণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। আজ শুক্রবার লন্ডনে বিএনপির...
ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের সূচনা
পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট। দিনটি ছিল শুক্রবার। সেসময় শনি ও রবিবার রাতে মহড়া চলতো সেনাবাহিনীতে। তাই শুক্রবার রাতে যখন ট্যাঙ্ক চলাচল শুরু হলো কেউই সন্দেহ করেনি। আর্মার্ড ও আর্টিলারি দুটি বিভাগের অন্তত ১০০ সেনা সদস্য বেরিয়ে আসে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে। তবে মূল পরিকল্পনার কথা জানতো হাতে গোনা কয়েকজন।
আর্মার্ড অর্থাৎ ট্যাঙ্কের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর ফারুক আর আর্টিলারির নেতৃত্বে ছিলেন মেজর রশিদ। তাদের কমান্ডে ফজরের নামাজের সময় অর্থাৎ ভোর পাঁচটা থেকে সোয়া পাঁচটার দিকে বাহিনীটি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়।
কিছু দূর এগোনোর পর বাহিনীটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি গ্রুপ রওনা হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির দিকে। আর দুটির একটি রওনা হয় মিন্টো রোডে আব্দুর রব সেরনিয়াবাদের বাসার দিকে এবং আরেকটি গ্রুপ যায় ধানমন্ডি ১৩/১-এ শেখ ফজলুল হক মনির বাসায়।
এদিকে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একদিন আগেই অর্থাৎ ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীকেও বদল করা হয়। ১৫ আগষ্ট ভোরে হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। প্রথমেই শেখ কামালকে হত্যা করে ঘাতকরা। গুলির শব্দে নিচে নেমে আসেন বঙ্গবন্ধু। গুলি করে ঝাঁঝড়া করে দেয়া হয় জাতির পিতাকে। তার নিথর দেহ লুটিয়ে পড়ে এক তলার সিঁড়িতে। সেই সাথে শেষ হয় একটি অধ্যায়ের।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই থেমে থাকেনি ঘাতকেরা। দোতলায় উঠে গুলি করে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবকে। একে একে অন্য দুই ছেলে শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের ও এক নিরাপত্তা রক্ষীসহ নয় জনকে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ধানমন্ডির বাসায় হামলা চালায়। সেখানে মারা যান মনি ও তার অন্তঃসত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি।
আবদুর রব সেরনিয়াবাদ সে সময় মিন্টো রোডের মন্ত্রী পাড়ায় থাকতেন। ঘাতকদের একটি গ্রুপ সে বাড়িতেও হামলা চালায়। হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী সেরনিয়াবাদ ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয় জনকে।
বঙ্গবন্ধুর বাসায় হামলার খবর পেয়ে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল ধানমন্ডিতে ছুটে যান। পথেই তাকে প্রাণ দিতে হয় ঘাতকের গুলিতে।
১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে আটটার দিকে রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। একই সঙ্গে সারা দেশে জারি হয় কারফিউ। ষড়যন্ত্রকারীরা কাউকে টেরই পেতে দেয়নি এত বড় একটা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে রাজধানীতে।
সেদিনই বেলা ১১ টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন খন্দকার মোশতাক। গঠন করা হয় মন্ত্রিসভা। এভাবেই জাতির জনককে হত্যা করে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করে খুনিরা।
/এইচ.এ/