বন্যা মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বন্যা মোকাবিলায় প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্যার পর ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট মেরামত, কৃষিতে ক্ষতিপূরণসহ সব বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বেলা ১১টায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যা পরিস্থিতি এবং পদ্মা সেতু নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বন্যা কবলিত ১১ জেলায় ৯০০ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৩৫ লাখ নগদ টাকা এবং ৫৫ হাজার খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম, পানি যাতে দ্রুত নেমে যেতে পারে, প্রয়োজনে রাস্তা যেন কেটে দেয়। এটাও আমাদের একটা শিক্ষা, কোন জায়গা থেকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে, কারণ আমাদের এখানে তো বন্যা আসবেই। সেটা চিহ্নিত করে রাখতে বলেছি, সেখানে ব্রিজ কালভার্ট এমনভাবে করে দেব, যাতে পানি জমা থাকতে না পারে।

ওই অঞ্চলে আরো বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র করার পাশাপাশি বন্যার কথা মাথায় রেখে অবকাঠামো করার কথাও জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, অনেক দিন এরকম বন্যা হয়নি, আবার বন্যা আসলো। সেইভাবে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। বন্যার পর কৃষক যেন কৃষিকাজ করতে পারে, সেজন্য বীজ, সারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে জানিয়ে, কষ্ট করে যারা বন্যার মধ্যে কাজ করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। বন্যার পানি অপসারণে যেসব জায়গায় রাস্তা কাটা হয়েছে, পানি নামার পর সেগুলো মেরামত করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ২৫ জুন সকালে পদ্মা নদীর ওপর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। সেদিন উৎসব হবে সারা দেশে।

এদিকে, টানা বৃষ্টি আর প্রবণ বর্ষণে সিলেট, সুনামঞ্জসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় চলছে বন্যা। বন্যা পরিস্থিতি এবং বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা সরেজমিন দেখতে মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে সিলেট অঞ্চলে যান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি সিলেট সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।