প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২২, ১১:০০ এএমআপডেট : ২২ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪২ পিএম
ছবি সংগৃহীত
ধর্মঘট স্থগিত নেতাদের এমন ঘোষণা দেয়ার পরও কাজে যোগ দেননি চা শ্রমিকরা। বিভিন্ন বাগানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শ্রমিকরা বলছেন, রোববার রাতের বৈঠক বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। তাই এখনও কাজে ফেরেননি তারা। এদিকে রোববার রাতে মৌলভীবাজারে বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক জানান, শ্রমিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে চলমান ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোববার রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো জাকারিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে ৮ জন নেতা সমঝোতা পত্রে সই করেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে চা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-বি ৭৭ তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আগামীকাল ২২/০৮/২২ কাজে যোগ দেবেন। আপাতত চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০/-(একশত বিশ) টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে যোগদান করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরির বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে মর্মে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।
'আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার পূর্বে মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার জন্য চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করেছেন যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপিত হবে। চা শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করবেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার জন্য দাবিসমূহ প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন।'
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের ৮ দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন চা শ্রমিক নেতারা। বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও অন্তর্ভুক্তির পথে বাংলাদেশ যে সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছে, তা সব জায়গায় দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশে থাকতে পারা এক সতেজ...
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে...
মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে দেশে ফিরে আসা ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আদেশ দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে, নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসার পরিবর্তে...
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য উপকৃত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মতো বিষয়ে চীনের শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। ‘জাতীয় কৌশলগত চাহিদা’-কে প্রাধান্য দিয়ে এআই’র মতো বিষয়ে আরও দক্ষ...
কাজে ফেরেনি চা শ্রমিকরা
রোববার রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো জাকারিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে ৮ জন নেতা সমঝোতা পত্রে সই করেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে চা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-বি ৭৭ তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আগামীকাল ২২/০৮/২২ কাজে যোগ দেবেন। আপাতত চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০/-(একশত বিশ) টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে যোগদান করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরির বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে মর্মে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।
'আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার পূর্বে মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার জন্য চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করেছেন যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপিত হবে। চা শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করবেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার জন্য দাবিসমূহ প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন।'
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের ৮ দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন চা শ্রমিক নেতারা। বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়।
/আর.এম/