প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৩ এএমআপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৩ এএম
ফাইল ছবি
ময়মনসিংহের মধুপুর ফল্টে যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে রাজধানীর প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের।
আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার বলছে, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও মিয়ানমার এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই, এ অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন শহর। এ ঘটনায় আবারও আলোচনায় ঢাকা। কেননা বিশ্বে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা শহরগুলোর অন্যতম, বাংলাদেশের রাজধানী।
ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারিবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক দিলারা জাহিদ বলছেন, ভূমিকম্প সহনশীল নয় এমন ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো সংস্কার বা ধ্বংস করতে হবে। পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় তৈরি করতে হবে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন, ঢাকার ৬০ ভাগ ভবনই মূল নকশা পরিবর্তন করে গড়ে ওঠায় বড় ভূমিকম্পে সেগুলো ধসে পড়তে পারে। এছাড়া, সরু রাস্তার কারণে ব্যাহত হবে উদ্ধার তৎপরতা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলছেন, ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় ১০টি বড় শহরে আপৎকালীন পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২ হাজার ৩শো কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনে বিভিন্ন সংস্থাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
ভূতত্ত্ব গবেষকরা বলছেন, সাধারণত ১০০ বছর পরপর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। সবশেষ ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। সে হিসেবে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার এগিয়ে নিতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, ‘গত আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি আদর্শবাদী আন্দোলন যখন শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে, তখন বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ...
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সেনাসদস্য ও পুলিশের পর এবার বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকেই এনবিআর ভবনের সামনে নিরাপত্তা...
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ সংক্রান্ত যে স্ট্যাটাস ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, তা ব্যক্তিগত মতামত বলে জানিয়েছেন তাঁর বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ শুক্রবার...
দেশের আর্থিক খাতে কোনো রোডম্যাপ নেই মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী দাবি করেছেন, সবার চিন্তা শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে...
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এতে মোট ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা রয়েছে। আজ...
ভারতকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করে অর্থপূর্ণ সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। আজ শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে ভারতের বক্তব্যের জবাবে এই আহ্বান জানান জাতিসংঘে...
ভূমিকম্প ঝুঁকি, কতটা প্রস্তত বাংলাদেশ?
আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার বলছে, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও মিয়ানমার এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই, এ অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন শহর। এ ঘটনায় আবারও আলোচনায় ঢাকা। কেননা বিশ্বে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা শহরগুলোর অন্যতম, বাংলাদেশের রাজধানী।
ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারিবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক দিলারা জাহিদ বলছেন, ভূমিকম্প সহনশীল নয় এমন ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো সংস্কার বা ধ্বংস করতে হবে। পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় তৈরি করতে হবে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন, ঢাকার ৬০ ভাগ ভবনই মূল নকশা পরিবর্তন করে গড়ে ওঠায় বড় ভূমিকম্পে সেগুলো ধসে পড়তে পারে। এছাড়া, সরু রাস্তার কারণে ব্যাহত হবে উদ্ধার তৎপরতা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলছেন, ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় ১০টি বড় শহরে আপৎকালীন পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২ হাজার ৩শো কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনে বিভিন্ন সংস্থাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
ভূতত্ত্ব গবেষকরা বলছেন, সাধারণত ১০০ বছর পরপর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। সবশেষ ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। সে হিসেবে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
/কা.বি./