সেকশন

বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Independent Television
 

যে প্রশ্নের উত্তর দেননি আহমেদ রুবেল

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

চোখ বন্ধ করেও যে অভিনেতার অভিনয় ঠাওর করা যেত, তিনি আহমেদ রুবেল। তাঁর দরাজ গলা তাঁকে আলাদা করে ফেলত নিয়তই। চোখ বুঁজলেই ‘পোকা’তে ঘোড়া মজিদ বা ‘প্রেত’ নাটকের সেই রহস্যময় চরিত্রটি এখনো ঘুরেফিরে আসে। এমন সব চরিত্র যে অভিনেতা নিমিষেই ধারণ করতেন, আসলে তাঁকে পেয়েও আমরা সেভাবে পাইনি।

আহমেদ রুবেলকে নিয়ে অনেক ভাবনাই ঘুরেফিরে আসে। তার মধ্যে একটি হলো—কেন এই জাঁদরেল অভিনেতাকে পুরোপুরি ব্যবহার করা হলো না? আবার প্রশ্নটা ঘুরিয়ে এভাবেও করা যায়, তাঁর মতো ইনফ্লুয়েনশিয়াল‌ বা মোর দ্যান পারফেক্ট অভিনেতা কেন এতটা আড়ালে থেকে গেলেন?

কাজের সূত্রে প্রায়ই কথা বলতে হয় শিল্পীদের সঙ্গে। নানাভাবে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টাও করেছি। কিন্তু উত্তর মেলেনি রুবেলের কাছে।

বড় জোর মৃদু হেসে ভরাট গলায় রুবেল বলেছিলেন, ‘এই তো শুরু করলাম।’ কিন্তু শুরুর চেয়ে তিনি থেমেই থেকেছেন বেশি। হুট করেই ডুবে থেকেছেন তাঁর ছায়াঘেরা আবাস গাজীপুরে।

এক সাক্ষাৎকারে রুবেল তাঁর এই ‘চুপ ডুব’ নিয়ে বলেছিলেন, ‘প্রায় ৫০০ নাটক করেছি। আমি তো মনে করি কম করিনি। তবে অনেক বেশি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু একটা কথা, আমার যদি স্ক্রিপ্ট পছন্দ না হয়, না খেয়ে থাকলেও আমি সেই কাজ করব না।’

অনেকটা ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে বলা এ কথার মধ্যে আমি দেখেছিলাম দৃঢ়তার চোয়াল। যেটা তিনি শেষ অবধি ধরে রেখেছিলেন।

মঞ্চ ও টেলি নাটকের বাইরে বহু সিনেমায় এ তারকাকে পাওয়া গেছে। ‘আখেরি হামলা’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেছিলেন। তাঁকে দেখা গেছে ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’, ‘পারাপার’ চলচ্চিত্রে।

আহমেদ রুবেল। ছবি: সংগৃহীতনাটকের চেয়েও সিনেমাতে তাঁর আক্ষেপটা ছিল ভীষণ। ঢাকাই সিনেমার দুরবস্থা তাঁকে পোড়াত। রাজনীতি সচেতন আহমেদ রুবেলের মতে, চলচ্চিত্রে পচন ধরেছে নানা কারণে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দায়ী চলচ্চিত্রশিল্পের মানুষের ঘৃণ্য রাজনীতি।

আহমেদ রুবেল নামটা নিয়ে তিনি মজার তথ্য শুনিয়েছিলেন। মূলত এ অভিনেতার নাম ছিল আহমেদ রেজাউল ইসলাম। বাবা তাঁকে ডাকতেন ‘রুবল’ নামে। বড় ভাইয়ের নামটা ছিল ‘ডলার’। বাবাই মূলত রাশিয়া ও আমেরিকার দুই কারেন্সির নামে দুই ছেলের নামটা রাখেন।

আহমেদ রুবেল। ছবি: সংগৃহীতমজার ছলে আহমেদ রুবেল নামের বিষয়টি নিয়ে বলেছিলেন, ‌‘গাইতে গাইতে যেমন গায়েন হয়, তেমনে ডাকতে ডাকতে আমি রুবেল হয়ে গেলাম। প্রথম জীবনে ভেবেছিলাম রাজনীতি করব। ভীষণ ডানপিটে ছিলাম। ভয়ংকর রকমের। তবে বাবার ভেটোর কারণে রাজনীতিতে নামতে পারিনি। কারণ তিনি সরাসরিই বলেছিলেন, যদি কোনো ঝামেলায় পড়ি, তিনি কখনোই এগিয়ে আসবেন না। এরপর থিয়েটার করার ভাবনা আসে। তখন বাড়িতে রুবল ডাকলেও বাইরের সবাই রুবেল বলতেন। এরপর কাজ করতে এলাম। রেজাউল নামটা লম্বা। তাই আহমেদের পর রুবেল দিলাম। কারণ সবাই রুবেল নামেই চেনেন।’

বন্ধু-বান্ধবের কারও কাছে তিনি রুবল, কারও কাছে রুবেল। প্রায়ই ‘নিখোঁজ’ হওয়া রুবেলের খোঁজ মিলত বন্ধুদের আড্ডাতে। সেটা গাজীপুরের নিজেদের বাড়িতে। বাড়ির ঠিক উঠোনোর পাশেই ছিল একটা স্কুল। যেখানে পড়ত বিশেষ শিশুরা। অটিজম বাচ্চাদের জন্য এটা করা। যা বন্ধুরা মিলে গড়ে তোলা। এই স্কুলটার জন্য নিজের বাড়ির নিচতলাটা খালি করে দিতে চেয়েছিলেন রুবেল। হয়তো করতে চেয়েছিলেন আরও এমন কাজ। যেটা হয়তো ভরাট কণ্ঠের চাপা স্বভাবের রুবেলের মতোই ‘আড়ালে’ থেকে গেল।

লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী সুষমা দাস তাঁর সুমধুর কন্ঠ ও গায়কীর মুন্সিয়ানায় অসংখ্য শ্রোতাকে মুগ্ধ করে রেখেছেন সুদীর্ঘকাল। তাই দেশ–বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে গুণগ্রাহী সংগীতপ্রিয় মানুষেরা তাঁর...
‘সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণা’–এই বাক্যটি দিয়ে অনেক সিনেমা‑নাটকই তৈরি হয়। আমাদের দেশে যেমন হয়, বিদেশেও হয় হরহামেশা। ওটিটি’র এই দুনিয়ায় এ ধরনের বিনোদনমূলক ভিডিও কনটেন্ট আরও বেশি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি...
দেশটায় এখন প্রচুর ঘটনা। একটার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটা ঘটে যায়। এরপর আরেকটা। এভাবে চলছেই কেবল। তবে সব ঘটনার পরম্পরা একে একে সাজালে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। আর তখনই মনে পড়ে ১০ বছর আগে...
সত্যি কথা বলতে, প্রতুল মুখোপাধ্যায় বা তাঁর গান সম্পর্কে তখনও জানাশোনা বেশ কম। সবচেয়ে জনপ্রিয় যে তথ্যটি মনে গেঁথে ছিল, সেটি হলো, তিনি ‘আমি বাংলায় গান গাই’–এর আসল গায়েন। এর আগে মাহমুদুজ্জামান বাবু’র...
লোডিং...
পঠিতনির্বাচিত

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.