বিশ্বের বৃহত্তম বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে কিছু চাঞ্চল্যকর নতুন তথ্য রয়েছে, যা একেবারেই প্রথমবারের মতো দেখছে বিশ্ব। এই তথ্যের মধ্যে আছে, বিশ্বব্যাপী চীনের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। বিশ্বের অন্যতম জনমত বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ইপসোস পরিচালিত এই সমীক্ষায় ২৯টি দেশের ২২ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। বিশ্বের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয়। এবং বিশ্বাস করুন, এই প্রতিবেদনে আমি যে তথ্য পেয়েছি, তা আপনিও বিশ্বাস করতে পারবেন না। যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, আগামী দশকে বৈশ্বিক বিষয়ে আমেরিকার ইতিবাচক প্রভাব থাকবে কিনা, তখন বিশ্বের মাত্র ৪৬% ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন।
এ ধরনের জরিপের ইতিহাসে এই ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সর্বনিম্ন। কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, দেশটির মাত্র ১৯% উত্তরদাতা এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। সার্বিকভাবে, জরিপ ফল থেকে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি দেশই আগে যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে দেখতো বর্তমানে তার বড় পতন হয়েছে। এটা এমন এক অপ্রত্যাশিত পতন, যা কেউ অনুমান করতে পারেনি। যখন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে কোন দেশের; তখন ৪৯ শতাংশই তাদের জবাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে চীনের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো থাকবে।
ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো, বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীন সম্পর্কে বেশি আশাবাদী হচ্ছে। ইপসোসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস জ্যাকসনের মতে, এটা ভালো। ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রশাসন ক্ষমতা নেওয়ার তিন মাস পর, বিশ্বে ভালো শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও কানাডার মতো ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের কাছে। এটি বিশ্বজুড়ে আমেরিকার প্রতি সম্মান ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।

গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষা ও গবেষণার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে। সত্যি বলতে, এটি আগামী প্রজন্মের জন্য আমেরিকান নেতৃত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা রাখে। আমাকে কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? নেচার, বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ বৈজ্ঞানিক জার্নাল কী বলছে শুনুন। সম্প্রতি নেচার তাদের বার্ষিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৭৫ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী এখন দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠরা বলছেন, তারা কানাডা ও ইউরোপে জোরেশোরে চাকরি খুঁজছেন।
দেখুন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন সেইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চলেছেন, যা একসময় আমেরিকাকে বিশ্বের ঈর্ষার কারণ করে তুলেছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন বাতিল করার হুমকি দিয়েছে, যারা তাঁর সমালোচনা করে এমন কর্মসূচি ও ক্লাসগুলোকে সেন্সর করতে অস্বীকার করেছে। এটি একটি কল্পিত স্বৈরশাসিত উপন্যাসের মতো মনে হয়। এটা এমন একটি পদক্ষেপ, যাতে মনে হয়–হোয়াইট হাউস সক্রিয়ভাবে উচ্চশিক্ষাকে সেই হীরক রাজার দেশের মতো একটি যন্তরমন্তর কক্ষে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। আর যে প্রতিষ্ঠানগুলো বিরোধিতা করার সাহস দেখায়, তাদের শাস্তি দিচ্ছে।
হার্ভার্ডের কথাই ধরুন। দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি রাজনৈতিক প্রতিশোধের লক্ষ্যবস্তু। ট্রাম্প এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরো কোর্স বাদ দিতে বলেছিলেন। হার্ভার্ড অস্বীকার করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারি অর্থায়ন প্রত্যাহার এবং এর করমুক্ত মর্যাদা বাতিল করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। অধ্যাপকেরা এখন চলে যাচ্ছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিকল্প খুঁজছে। আমেরিকার একাডেমিক পাইপলাইন দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলাফল, একটি ঐতিহাসিক মেধা পাচার।

এখন, একটি বিষয় আমাদের প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে, গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ছিল চীনের বিরুদ্ধে। আর সেটি হলো, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই একটি অভিবাসী জাতি এবং বিশ্বের সেরা ও উজ্জ্বলতম মেধাবীদের স্বাগত জানিয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকানদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিলেন অভিবাসী।
২০১৯ সালে প্রায় ৪০ শতাংশ সফটওয়্যার ডেভেলপার ছিলেন অভিবাসী। ক্যানসার চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্রগুলোতে কর্মরতদের মধ্যে অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৬২ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু এটি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন শত শত ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে নির্বাসিত করা হচ্ছে। চীন, মধ্যপ্রাচ্য এবং ট্রাম্প যাদের বন্ধু মনে করেন না, সেসব দেশের স্নাতক শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা এখন এফবিআই-এর নিয়মিত তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। সত্যি বলতে, সিএনএনের উপস্থাপক ও লেখক ফরিদ জাকারিয়ার চেয়ে ভালোভাবে এটি আর কেউ বলতে পারেননি। তিনি এই বিষয়ে চমৎকার একটি মতামতধর্মী লেখা লিখেছেন। ট্রাম্প এক শ দিনের মধ্যে এক শ বছরের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নষ্ট করছেন। যে দেশ রোবোটিক্স, এআই এবং ক্লিন এনার্জির মতো ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে পারদর্শী হবে, তারাই একুশ শতক শাসন করবে। প্রেসিডেন্ট যদি উদ্ভাবনকারী বিজ্ঞানীদের পঙ্গু করার জন্য তাঁর ক্ষমতার সবকিছু ব্যবহার করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করার আশা করতে পারে?
চীন তার শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে, যা জাতীয় শক্তির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ। এটি চীনাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার একটি ক্লাসিক উদাহরণ। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করুন এবং আপনার ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করুন। চীনের শিক্ষাব্যবস্থা পশ্চিমা মানদণ্ডে তীব্র, এমনকি কঠোর বলেও প্রায়শই সমালোচিত হয়। তবে ফলাফল নিজেই কথা বলে। যুক্তরাষ্ট্র যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারি অর্থায়ন বন্ধ করছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে আক্রমণ করছে, তখন চীন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে এবং প্রবেশাধিকার অবারিত করছে।
চীন এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্যোগ-বিষয়ক ১৬ হাজারের বেশি ইনকিউবেটর তৈরি করেছে। এতে তারা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দেশব্যাপী ইনকিউবেটর পরিষেবা নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত এলাকা এবং তার ওপরের ৯৫% প্রশাসনিক অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। এর সহজ অর্থ হলো, চীন আক্ষরিক অর্থেই দেশটির প্রতিটি বর্গমাইলে উদ্ভাবনের কেন্দ্র বা সুযোগ রয়েছে। চীন এখন বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্নাতক ডিগ্রি দেয়। প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতায় যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই। শুধু ২০২০ সালে চীন ৩৫ লাখ ৭০ হাজার STEM স্নাতক তৈরি করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ ২০ হাজার। অর্থাৎ, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চার গুণেরও বেশি প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী ও ডেভেলপার চীনের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে।
এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়। এগুলো ভবিষ্যতের বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের ভিত্তি। একই সময়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিপত্তি কমেছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বব্যাপী র্যাংঙ্কিংয়ে নাটকীয়ভাবে ওপরে উঠছে। প্রথমবারের মতো দুটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১৫-তে প্রবেশ করেছে। এলিট নেচার জার্নালে সবচেয়ে উচ্চমানের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও এবং জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০২২ সালেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। চীন গবেষণাকে প্রণোদনা দিতে তার সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করছে। আর আমেরিকা এর উল্টোটা করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র তরুণ চীনা প্রতিভাবানদের মন জয়ের ক্ষমতা হারিয়েছে। হয়রানি ও ভিসা ঝুঁকির কারণে ভীত হয়ে চীনা শিক্ষার্থীরা এখন তাদের পড়াশোনার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করছে। এবং বিশ্বাস করুন, এটি কোনো ছোটখাটো ঘটনা নয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধ অনুসারে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক, অর্থাৎ প্রতিভাধরদের ক্ষেত্রে চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষণা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় এআই গবেষকদের ৩৮ শতাংশ এখন চীনের মূল বাসিন্দা, যেখানে আমেরিকানদের সংখ্যা ৩৭ শতাংশ। এর মানে হলো, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের নিজ দেশের নাগরিকদের চেয়ে আক্ষরিক অর্থেই বেশি চীনা এআই গবেষক তৈরি করছে।

চীন উদ্ভাবন করতে পারে না–এই দাবি একেবারেই সেকেলে চিন্তাভাবনা। এই ধরনের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাই আমেরিকার পতন নিশ্চিত করছে। টম এখানে শুধু ভুলই নন, তিনি সত্য থেকে অনেক দূরে। এবং আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের কথা অনুসারে: আমেরিকার জেগে ওঠা দরকার। কারণ চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটিই বাস্তবতা। এই কারণেই আমি মানুষকে বারবার চীনে ঘুরে আসতে উৎসাহিত করি। সহজ সত্য হলো, চীন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে বহু আলোকবর্ষ এগিয়ে। তা সে অবকাঠামো হোক বা মোবাইল পেমেন্ট, এআই ইন্টিগ্রেশন হোক বা রোবোটিক্স–আপনি যা-ই বলুন না কেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কেবল তাল মেলাচ্ছে না, বরং এই সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোতে সক্রিয়ভাবে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণকারী ও উদ্ভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এই কারণেই ব্লুমবার্গকে ‘কেন বিশ্ব চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখে বারবার বিস্মিত হয়?’– এই শিরোনামের নিবন্ধটি প্রকাশ করতে হয়েছিল। দেখুন, চীন যখন একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন উন্মোচন করে, তা সে ডিপসিকের মাধ্যমে এআই-এর উল্লম্ফন হোক বা গ্রিন টেক, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, অথবা নেক্সটজি উৎপাদনে যুগান্তকারী আবিষ্কার, আমেরিকানরা হতবাক ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। চীন কীভাবে এটি করতে পারল? আমরা কীভাবে পিছিয়ে পড়লাম? এটি সহজ। কারণ নিজের কাছে মিথ্যা বলা আপনাকে সত্য থেকে রক্ষা করে না। এটি কেবল সেই মুহূর্তটিকে বিলম্বিত করে, যখন আপনাকে এর মুখোমুখি হতে হয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যৎ জয়ের বিষয়ে সিরিয়াস হতো, তবে তারা শিক্ষা, গবেষণা ও প্রতিভাধরদের জন্য বিনিয়োগ করত।
কিন্তু এর পরিবর্তে, তারা শক্তি ব্যয় করছে আঙুল তোলা এবং অজুহাত দেখানোর পেছনে। বৈশ্বিক উদ্ভাবনের দৌড়ে, এটি কেবল একটি পরাজিত কৌশল নয়; এটি জাতীয় অন্তর্ঘাত। যদিও প্রশাসন এই মৌলিক বিষয়গুলো বুঝতে অস্বীকার করছে। আমেরিকার জনগণ বুঝতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের এক শ দিনের মাথায় জনমত জরিপে তাঁর অনুমোদনের হার প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। কারণ আমেরিকানরা অবশেষে আমেরিকান অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনকে বাস্তবিকই শূন্য হতে দেখছে। গবেষণা ছিন্নভিন্ন হচ্ছে, প্রতিভাধরদের বিতাড়িত করা হচ্ছে এবং সুযোগগুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে চীন অপেক্ষা করছে না। তারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের স্বাগত জানাচ্ছে। ভবিষ্যমুখী বিনিয়োগ করছে এবং বৈশ্বিক নেতৃত্বের নিয়মগুলো নতুন করে লিখছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে পারত। তাদের প্রতিটি সুবিধা ছিল। কিন্তু নেতৃত্ব কেবল ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে নয়। সেই ক্ষমতা নিয়ে কী করতে হবে, তা জানার বিষয় এটি। ভবিষ্যতের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায়, ট্রাম্প আমাদের এবং সমগ্র বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, কী করা উচিত নয়।
লেখক: চীনের বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক স্পিকার
(লেখাটি সিরাস জ্যানসেনের ভিডিও থেকে নেওয়া এবং ঈষৎ সংক্ষেপিত)
[এই মতামত লেখকের নিজস্ব। এর সঙ্গে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।]