সেকশন

শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
Independent Television
 

জুলাই আন্দোলনের এক বছর: উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, না অপূর্ণ প্রত্যাশা?

আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ পিএম

২০২৪ সালের জুলাই–বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। প্রায় দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন থাকা আওয়ামী লীগ সরকার এক নজিরবিহীন গণজাগরণ, বিপুল ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ ও অবিচল জনচাপের মুখে অবশেষে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। এই রকম নাটকীয় পতনের ঘটনাকে অনেকে ‘রাজনৈতিক টর্নেডো’ বলেও অভিহিত করেছেন–যে টর্নেডো শুধু একটি শাসকগোষ্ঠী নয়, বরং এক পুরো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ভেঙে চুরমার করে দেয়।

যখন ঢাকার রাজপথ রক্তে ভিজছিল–ধানমণ্ডি, নীলক্ষেত, শাহবাগ, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর কিংবা রাজারবাগ পরিণত হয়েছিল যেন যুদ্ধক্ষেত্রে; তখন দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করছিল এক যুগসন্ধির মুহূর্ত। দিনের পর দিন পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দমন অভিযান, আর জনতার অচলাবস্থার চাপে অবশেষে এক দুপুরে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আওয়ামী লীড় ও এর বন্ধুস্থানীয় দল এবং সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান, কেউ পাড়ি জমান বিদেশে। পরবর্তী কয়েক দিন রাষ্ট্রযন্ত্র এক শূন্যতা ও অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে যায়, যে শূন্যতা ছিল একযোগে আতঙ্ক, সম্ভাবনা এবং নতুন ভোরের আশাবাদ।

যদিও আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বহুমাত্রিক বিতর্ক ও অভিযোগ থেকেই যায়। ভোটাধিকার হরণ, গুম-খুন, প্রশাসনিক দলীয়করণ, বিচারহীনতা, বিরোধী দমন ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ–এসব অভিযোগে তাদের শাসনকালকে প্রবলভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের আন্দোলন ছিল কেবল একটি নির্দিষ্ট সরকারের পতনের দাবি নয়; বরং এটি ছিল রাষ্ট্র পরিচালনায় এক মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে অনেকেই আশা করেছিলেন–একটি গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের সূচনা ঘটবে। কিন্তু সেই আশাবাদের বিপরীতে সরকার যেভাবে প্রতিপক্ষকে দমন করতে আইন, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করছে, তা অনেকের কাছেই প্রতিশোধপরায়ণতার ইঙ্গিতবাহী।

এই আন্দোলনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল এর নেতৃত্ব ও কাঠামোর ভিন্নতা। এটি কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ছায়ায় পরিচালিত হয়নি, বরং ছিল এক বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক শক্তির বহিঃপ্রকাশ–যেখানে তরুণ, শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রত্যাশী, নাগরিক সমাজ, এমনকি কিছু প্রবাসী কণ্ঠও একত্রিত হয়ে গড়ে তোলে এক সর্বব্যাপী দাবির ঢেউ। এরই ফলশ্রুতিতে গঠিত হয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

এই দুঃসময়ের মধ্যে সেই সরকার গঠনের দায়িত্ব এসে পড়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাঁধে। যদিও তিনি ছিলেন আওয়ামী সমর্থিত মহলে বিতর্কিত, কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এবং আপাত রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা তাঁকে একটি সম্মতিসূচক মুখে পরিণত করে। সংলাপ, আলোচনার মাধ্যমে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল–রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করা, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।

এক বছরের মাথায় এসে আমাদের থেমে এখন প্রশ্ন করতে হয়, এই সরকার তাদের ঘোষিত লক্ষ্য কতটা পূরণ করতে পেরেছে? যে তরুণেরা রাজপথে জীবন দিয়েছে, ঘর হারিয়েছে, পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়েছে–তাদের আত্মত্যাগ কি ন্যায্যতা পেয়েছে? যে সাধারণ মানুষ এক পরিবর্তনের স্বপ্নে বুক বেঁধেছিল, তার প্রতিফলন কী ঘটেছে বাস্তবে?

ফাইল ছবিনানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় অর্জন হলো, একটি বহুধাবিভক্ত সমাজে আপাতভাবে একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। সহিংসতার মাত্রা কমেছে, বিরোধী মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে খানিকটা বেশি স্বাধীনতা মিলেছে। নিষিদ্ধ বা স্থগিত হয়ে থাকা একাধিক সংবাদমাধ্যম পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’-এর বিতর্কিত ধারা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি খানিকটা কমেছে। এই দিক থেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আংশিক অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে।

দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা লুটেরা অর্থনীতির চক্র ভাঙতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে আর্থিক কেলেঙ্কারি কমাতে শক্তিশালী নিরীক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে, বড় বড় প্রকল্পে অর্থ অপচয় ঠেকাতে নতুন নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা চালু হয়েছে।

তৃতীয়ত, সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে–নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিচার বিভাগেও কিছু ইতিবাচক উদাহরণ দেখা গেছে যেখানে দলীয় প্রভাব উপেক্ষা করে রায় দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থত, আন্তর্জাতিক মহলের আস্থাও কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে নতুন আগ্রহ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এবং জাপানের মতো দাতাদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। টাকার মান স্থিতিশীল হয়েছে, বৈদেশিক সাহায্য আবার চালু হয়েছে, রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে–যদিও মুদ্রাস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণে নয়।

তবুও এই সাফল্যগুলোর পেছনে রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন ও অস্পষ্টতা। প্রথমত, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলা হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুসংহত রোডম্যাপ বা সময়সূচি উপস্থাপন করা হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ চললেও তা কতটুকু ফলপ্রসূ হয়েছে বলা যাচ্ছে না। একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী কাঠামো না থাকায় সমাজে অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ দানা বাঁধছে।

দ্বিতীয়ত, প্রশাসন ও আমলাতন্ত্রে পুরোনো দলীয় আনুগত্য ও অনমনীয় মনোভাব এখনো জিইয়ে আছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে গিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ থমকে যাচ্ছে আমলাতান্ত্রিক প্রতিরোধ ও অনাস্থার কারণে।

তৃতীয়ত, বিচারব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এখনো আলোর মুখ দেখেনি। বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতির, দলীয় মামলার নিষ্পত্তি পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ উঠছে। ‘আইনের শাসন’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে।

পরিবর্তন কেবল অতীতের অপসারণ নয়, বরং তা নতুন ভবিষ্যতের নির্মাণ। আর সেই ভবিষ্যৎ নির্মাণে অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবে সময়, ইতিহাস এবং সবচেয়ে বড় করে বললে–জনগণ। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচন আদৌ হবে কি না, কবে হবে, কারা অংশ নেবে–এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই দেবে অন্তর্বর্তী সরকারের চূড়ান্ত মূল্যায়ন।

চতুর্থত, জনজীবনে এখনও উন্নতির বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বেকারত্ব বাড়ছে, চাকরির বাজারে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো স্বাভাবিক পাঠদানে ফিরতে পারেনি। তরুণদের স্বপ্ন ও বাস্তবতার ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি একটি বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে তাদের মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক অবস্থান নিয়ে। ইতিহাসের সেই গৌরবগাথাকে কেন্দ্র করে যেভাবে দীর্ঘদিন রাজনীতি হয়েছে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর নাম ও মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় মালিকানায় পরিণত করার প্রবণতা যেভাবে গভীর হয়েছিল, তা থেকে মুক্ত হওয়ার দাবি উঠেছিল জনতার আন্দোলনে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার সেই ইতিহাসকে পুনর্মূল্যায়নের পরিবর্তে অনেক সময়েই এক ধরনের নীরবতা বা সংকোচের আশ্রয় নিচ্ছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবহেলার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘নতুন নীতিমালা’ নামে কিছু তথ্য উপস্থাপনায় সংশয় তৈরি, এমনকি জাতীয় দিবসগুলোতেও অনেক ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত আচরণ–এসব ঘটনাকে পূর্ববর্তী আওয়ামী রাজনীতির অপব্যবহার বিরোধিতা নয় বরং ইতিহাসবিমুখ মানসিকতার প্রতিফলন বলেই অনেকে দেখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় ছাঁচ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না, অন্যদিকে ইতিহাসকে উপেক্ষা করার এক বিপজ্জনক প্রবণতা জন্ম নিচ্ছে। এই অবস্থান শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, বরং জাতীয় আত্মপরিচয়ের মৌল ভিত্তিকেই দুর্বল করে তুলতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে অনেকেই আশা করেছিলেন–একটি গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের সূচনা ঘটবে। কিন্তু সেই আশাবাদের বিপরীতে সরকার যেভাবে প্রতিপক্ষকে দমন করতে আইন, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করছে, তা অনেকের কাছেই প্রতিশোধপরায়ণতার ইঙ্গিতবাহী। 

এর পাশাপাশি আরও গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো, জনতার মধ্যেই এক ধরনের সহিংস প্রবণতা বাড়ছে। ‘মব জাস্টিস’-এর নামে পিটিয়ে হত্যা, নারী খেলোয়াড়দের অনুষ্ঠান বাতিল, ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা–এসব ঘটনা একটি বিপজ্জনক সামাজিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ১০ মাসে এমন ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৪ জন, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক।

এই অবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, যে ছাত্র-জনতা ও তরুণ প্রজন্ম রক্ত দিয়ে এই রাজনৈতিক রূপান্তরের পথ তৈরি করেছিল, তারা কী পেল? তারা স্বপ্ন দেখেছিল একটি নৈতিক, বিকল্প ও নতুন বাংলাদেশের। কিন্তু বাস্তবে তারা এখনও পর্যন্ত পাচ্ছে স্থগিত প্রতিশ্রুতি, দোদুল্যমান দিকনির্দেশনা এবং দ্ব্যর্থপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই সরকারের কর্মকাণ্ডকে যদি একটি গ্লাস পানি ধরা হয়–তাহলে কেউ বলবেন গ্লাসটি আধা পূর্ণ, আবার কেউ বলবেন এটি আধা খালি। বাস্তবতা হলো, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও কাঠামোগত সংস্কার, রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা অর্জনের পথে অনেক দূর যেতে হবে এখনো।

পরিবর্তন কেবল অতীতের অপসারণ নয়, বরং তা নতুন ভবিষ্যতের নির্মাণ। আর সেই ভবিষ্যৎ নির্মাণে অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবে সময়, ইতিহাস এবং সবচেয়ে বড় করে বললে–জনগণ। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচন আদৌ হবে কি না, কবে হবে, কারা অংশ নেবে–এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই দেবে অন্তর্বর্তী সরকারের চূড়ান্ত মূল্যায়ন।

তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, বাংলাদেশের মানুষ আর আগের জায়গায় ফিরবে না। একবার ‘চোখ খোলা’ মানুষকে আর অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া যায় না। পরিবর্তনের অর্থ শুধু পুরনোদের বিদায় নয়, বরং নতুনদের জন্য একটি নৈতিক বিকল্প হাজির করা। অন্তর্বর্তী সরকার সেই উচ্চতা ছুঁতে পেরেছে কি না, তা ইতিহাস বলবে। তবে জনগণের আশা এখনো নিঃশেষ হয়নি–শুধু প্রশ্ন হলো: আর কতদিন?

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক

[এই মতামত লেখকের নিজস্ব। এর সঙ্গে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।]

ঠিক ২ মাস ৬ দিন আগের কথা। দিনের নিখুঁত হিসাব করলে, ৬৭ দিন আগে। ঘণ্টা ও মিনিটের হিসাবে আর না যাই। বড্ড ক্লান্ত লাগে যে! শুধু ক্লান্তিই বা বলছি কেন? সেই সঙ্গে এই শেষ জ্যৈষ্ঠের আকাশে অনাকাঙ্ক্ষিত...
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের 'জুলাই আন্দোলন' নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কিন্তু তাই বলে পাবনার সেই হলের নাম—যেটি কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনের নামে উৎসর্গ...
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান, চাল ও গম সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। যদিও, সরকারি সংগ্রহ বাড়েনি, বরং কমেছে লক্ষ্যমাত্রা। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা...
চীনের সাথে বাংলাদেশের এই সম্পর্ক বিভিন্ন দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব মোড়লের সব থেকে উঁচুতে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা ভারতের চোখে বাংলাদেশকে দেখছিল। মোটকথা ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার চৌকিদারি প্রদান...
প্রাথমিকভাবে অপরাধে সংশ্লিষ্টতা না পেলে আসামি খালাস দিতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট, সিআরপিসিতে নতুন ধারা যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
হামজা চৌধুরী, সামিত সোমদের আগমণে র‍্যাঙ্কিংয়ে এগোনোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তবে আজ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশ। মেসির আর্জেন্টিনা শীর্ষে, ব্রাজিল পাঁচ নম্বরে, রোনালদোর পর্তুগাল...
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা। বৃহস্পতিবার ইসিতে এক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ জানান, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার থাকছে না। এছাড়া...
শ্রীলঙ্কাকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশ যদি বল হাতে লড়াই করার কিঞ্চিত আশা দেখে থাকেও-বা, সেটা মিটিয়ে দিতে শ্রীলঙ্কার পাওয়ার প্লে-র বেশি লাগল না! ততক্ষণেই যে ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা শেষ!...
লোডিং...
পঠিতনির্বাচিত

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.