সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ী কমবে বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মানুষ। জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণে (www.itvbd.com) এক অনলাইন জরিপের আয়োজন করে। এই জরিপে সিগারেটের দাম বাড়ানো পক্ষে ভোট দিয়েছেন অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী।
গত রোববার নিজেদের অনলাইন সংষ্করণে জরিপটি দেয় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ালে ধূমপায়ী কমবে বলে মনে করেন কি?’ পরদিন সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা জরিপে অংশ নেন পাঠকরা।
জরিপে অংশ নেন ১ হাজার ৯৫৬ জন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ হাজার ৫১৬ জন (৭৭ দশমিক ৫১ শতাংশ) মনে করেন এবার বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানো উচিত। ৪৩২ জন (২২ দশমিক ০৯ শতাংশ) বিপক্ষে ভোট দেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮ জন (শূণ্য দশমিক ৪১ শতাংশ) কোনো মন্তব্য করেননি।
গত ২৫ মে ‘ধূমপায়ী কমাতে বাড়াতে হবে সিগারেটের দাম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন অনলাইন। এরই প্রেক্ষিতে পরদিন রোববার পাঠকদের উদ্দেশ্যে জরিপে প্রশ্নটি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ধূমপায়ীর সংখ্যা কমাতে সিগারেটের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। সেই সাথে রাজস্ব প্রবৃদ্ধির জন্যও আগামী বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে একদিকে যেমন ধূমপায়ীর সংখ্যা কমবে, সেই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এটি বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘মূল্যস্ফীতির তুলনায় দাম নির্ধারণ না হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ধূমপানের সহজলভ্যতা বেড়েছে। নিম্নস্তরের সিগারেট সস্তা ও সহজলভ্য থাকায় নিম্নআয়ের মানুষকে ধূমপান থেকে নিরুৎসাহিত করা যাচ্ছে না। কারণ নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি হওয়ায় ধূমপায়ীর সংখ্যা কমাতে হলে প্রতি বছর এই স্তরের মূল্যবৃদ্ধি প্রয়োজন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ধূমপায়ীর প্রায় ৮০ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা এবং এরা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ।’