প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩৩ পিএমআপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪৩ পিএম
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, চক্রটির সদস্যরা দিনে দিনমজুরি করতো আর রাতে সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকআপ বা ট্রাকের গতিরোধ করে ডাকাতি করতো। এসময় তাদের সাথে থাকতো ধারালো অস্ত্র। ডাকাত চক্রটির মূল টার্গেট গার্মেন্টস পণ্য।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংস্থাটির পরিচালক বলেন, শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হয় ডকাত দলের সদস্য মূসা, নাঈম, শামিম, রনি, আবু সুফিয়ান ও মামুনকে। একই সাথে ২ জন ভুক্তভোগী এবং ডাকাতির মালামালসহ একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দলের চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকার বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করছিলেন। এদের মধ্যে পেশায় কেউ পোশাকশ্রমিক, চালক, চালকের সহযোগী, আবার কেউ রাজমিস্ত্রি ও কাপড়ের দোকানের কাটিং মাস্টার। দিনে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও রাতে তাঁরা ডাকাতিতে অংশ নেন।
চক্রটি তিনটি দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি করত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান খন্দকার আল-মইন, তিনি বলেন, একটি দল বিভিন্ন পোশাকে পণ্যবাহী ট্রাক ও মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী যানবাহন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। তারাই ডাকাতির জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করেন। আর দ্বিতীয় দলটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে মহাসড়কে অবস্থানের পর পণ্যবাহী যানবাহনটির পিছু নেয়। সুবিধাজনক স্থানে এ চক্রের সদস্যরা যাত্রীবাহী বাস দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহনের গতি রোধ করে। পরে পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও তাঁর সহকারীকে বাসে উঠিয়ে পণ্যবাহী পরিবহনটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বাসে তুলেই তাঁদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেল দেয়া হয় বলেও জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।
তৃতীয় দলে চক্রের প্রধান মুসা এবং অন্য এক সদস্য পণ্যবাহী পরিবহনটি নিয়ে সটকে পড়েন। দলের অন্য সদস্যরা চালক ও সহকারীকে জিম্মি করে কখনো কখনো মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেন। আবার কখনো এমনিতেই কোনো নির্জনস্থানে তাঁদের ফেলে পালিয়ে যান। ডাকাত দলের প্রধান মুসা ডাকাতির পর গাড়ি পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিয়ে মালামাল বিক্রি করে দেন। পণ্যবাহী গাড়িটিও তাঁরা বিক্রির চেষ্টা করেন। তবে বিক্রি করতে না পারলে কোনো নির্জন স্থানে গাড়িটি ফেলে যান।
চক্রের সদস্যদের বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের প্রধান মূসা নেতৃত্বে সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানান, প্রতিটি ডাকাতিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তাঁর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা। /আর.এম/
সাত বছরে পা দিলো দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাপিনেস কোচ ও ব্রেইন ট্রেইনার কোচ কাঞ্চন একাডেমি। এ উপলক্ষে রোববার রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘আর্ন করি হ্যাপিনেস, ভাল রাখি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে...
সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ী কমবে বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মানুষ। জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণে (www.itvbd.com) এক অনলাইন জরিপের আয়োজন...
প্রায় ৮ লাখ পেনশনার ইএফটির মাধ্যমে মাসের প্রথম কর্মদিবসেই পেনশন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এ এইচ এম শামসুর রহমান। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার আওতায় শুদ্ধাচার...
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স সূচকে ২২৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে আছে পাকিস্তানের করাচি। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আছে তালিকায় দুই নম্বরে। ভারতের নয়াদিল্লি তালিকায় নবম।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে অনুমোদন পেয়েছেন তুলসি গ্যাবার্ড। স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে জয়ী হন সাবেক ডেমোক্র্যাট এই কংগ্রেসওম্যান।
দিনে শ্রমিক, রাতে ডাকাতি করতেন তারা: র্যাব
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংস্থাটির পরিচালক বলেন, শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হয় ডকাত দলের সদস্য মূসা, নাঈম, শামিম, রনি, আবু সুফিয়ান ও মামুনকে। একই সাথে ২ জন ভুক্তভোগী এবং ডাকাতির মালামালসহ একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দলের চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকার বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করছিলেন। এদের মধ্যে পেশায় কেউ পোশাকশ্রমিক, চালক, চালকের সহযোগী, আবার কেউ রাজমিস্ত্রি ও কাপড়ের দোকানের কাটিং মাস্টার। দিনে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও রাতে তাঁরা ডাকাতিতে অংশ নেন।
চক্রটি তিনটি দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি করত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান খন্দকার আল-মইন, তিনি বলেন, একটি দল বিভিন্ন পোশাকে পণ্যবাহী ট্রাক ও মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী যানবাহন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। তারাই ডাকাতির জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করেন।
আর দ্বিতীয় দলটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে মহাসড়কে অবস্থানের পর পণ্যবাহী যানবাহনটির পিছু নেয়। সুবিধাজনক স্থানে এ চক্রের সদস্যরা যাত্রীবাহী বাস দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহনের গতি রোধ করে। পরে পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও তাঁর সহকারীকে বাসে উঠিয়ে পণ্যবাহী পরিবহনটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বাসে তুলেই তাঁদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেল দেয়া হয় বলেও জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।
তৃতীয় দলে চক্রের প্রধান মুসা এবং অন্য এক সদস্য পণ্যবাহী পরিবহনটি নিয়ে সটকে পড়েন। দলের অন্য সদস্যরা চালক ও সহকারীকে জিম্মি করে কখনো কখনো মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেন। আবার কখনো এমনিতেই কোনো নির্জনস্থানে তাঁদের ফেলে পালিয়ে যান। ডাকাত দলের প্রধান মুসা ডাকাতির পর গাড়ি পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিয়ে মালামাল বিক্রি করে দেন। পণ্যবাহী গাড়িটিও তাঁরা বিক্রির চেষ্টা করেন। তবে বিক্রি করতে না পারলে কোনো নির্জন স্থানে গাড়িটি ফেলে যান।
চক্রের সদস্যদের বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের প্রধান মূসা নেতৃত্বে সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানান, প্রতিটি ডাকাতিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তাঁর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
/আর.এম/