২১ আগস্ট হামলা মামলা: হাইকোর্টে বেঞ্চ গঠনের অপেক্ষা
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২, ১১:২৫ এএমআপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২, ০৩:০৬ পিএম
ফাইল ছবি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন ও আসামিদের আপিল হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, বেঞ্চ ঠিক হলে এ বছরই শুনানি। এদিকে আইনবিদেরা বলছেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায়ই রাষ্ট্রীয় মদদ ও সহযোগীতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা।
২১ আগস্ট, ২০০৪। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে চলছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ। শেখ হাসিনার বক্তৃৃতা শেষ করার পর পরই শুরু হয় লাগাতার গ্রেনেড হামলা। এতে দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ প্রাণ দেন ২৪ জন। শেখ হাসিনাসহ আহত কয়েকশ নেতাকর্মী। আর এ হামলা চালিয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ।
হামলার ১৪ বছর পর, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আসে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার রায়। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আরও ১১ জনের সাজা হয় নানা মেয়াদে।
এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আপিল শুনানির জন্য নথি আসে হাইকোর্টে। বিচার শুরুতে প্রস্তুত হয়েছে পেপার বুক। প্রধান বিচারপতির কাছে দ্রুত শুনানির জন্য বেঞ্চ চেয়ে আবেদন করার কথাও জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আইনবিদেরা বলছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাদের বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিশ্চিহ্নের ধারাবাহিক তৎপরতার অংশ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূন্য করার এমন অপচেষ্টা ঘৃণ্য ও কাম্য নয়। এমন রাজনীতি দেশ ও জনগণ চায় না।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সন্ত্রাস ও বিএনপি সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের। মঞ্চ তৈরির অনুমতি না থাকায় একটি ট্রাকেই বানানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ।
বিকেল ৫টা ২ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২০ মিনিট পর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নামতে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ট্রাকের বাঁ পাশে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয় একটি গ্রেনেড। সঙ্গে সঙ্গেই বসে পড়েন তিনি। এসময় অন্য নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন।
এক-দেড় মিনিটের ব্যবধানে ঘটে ১৩টি বিস্ফোরণ। এসময় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ট্রাক থেকে নামিয়ে তার গাড়িতে তুলে দেন নেতারা। এরপর বৃষ্টির মতো শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সব বাধা পেরিয়ে ধানমন্ডির সুধা সদনে পৌঁছে যান তিনি। ভয়াবহ এই হামলায় মারা যান আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন কয়েকশো নেতা-কর্মী।
এখানেই শেষ নয়, আহতদের যখন হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন পাওয়া যায়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। ব্ল্যাড ব্যাংকে ছিল না রক্তও। জাতির পিতা ও চার নেতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকেই মুছে ফেলতে সুপরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়, বলছেন দলের নেতারা।
এরপর চলে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। হামলাকারীদের দেশের বাইরে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনাস্থলের আলামতও নষ্ট করা হয়। উদ্ধার হওয়া অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসেবে না রেখে করা হয় ধ্বংস।
ইতিহাসের জঘন্যতম এই রাজনৈতিক হামলার পর স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো দেশ। জজ মিয়াসহ চলে নানা নাটকীয়তা। পরে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও ১১ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।
সাত বছরে পা দিলো দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাপিনেস কোচ ও ব্রেইন ট্রেইনার কোচ কাঞ্চন একাডেমি। এ উপলক্ষে রোববার রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘আর্ন করি হ্যাপিনেস, ভাল রাখি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে...
সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ী কমবে বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মানুষ। জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণে (www.itvbd.com) এক অনলাইন জরিপের আয়োজন...
প্রায় ৮ লাখ পেনশনার ইএফটির মাধ্যমে মাসের প্রথম কর্মদিবসেই পেনশন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এ এইচ এম শামসুর রহমান। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার আওতায় শুদ্ধাচার...
অপারেশন ডেভিল হান্টে খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ...
জামালপুরের মাদারগঞ্জে শুরু হয়েছে গ্যাসের অনুসন্ধান। গ্যাসের উপস্থিতি নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী বাপেক্স। প্রত্যাশা অনুযায়ী গ্যাস মিললে এ কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। এখান...
২১ আগস্ট হামলা মামলা: হাইকোর্টে বেঞ্চ গঠনের অপেক্ষা
২১ আগস্ট, ২০০৪। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে চলছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ। শেখ হাসিনার বক্তৃৃতা শেষ করার পর পরই শুরু হয় লাগাতার গ্রেনেড হামলা। এতে দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ প্রাণ দেন ২৪ জন। শেখ হাসিনাসহ আহত কয়েকশ নেতাকর্মী। আর এ হামলা চালিয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ।
হামলার ১৪ বছর পর, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আসে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার রায়। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আরও ১১ জনের সাজা হয় নানা মেয়াদে।
এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আপিল শুনানির জন্য নথি আসে হাইকোর্টে। বিচার শুরুতে প্রস্তুত হয়েছে পেপার বুক। প্রধান বিচারপতির কাছে দ্রুত শুনানির জন্য বেঞ্চ চেয়ে আবেদন করার কথাও জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আইনবিদেরা বলছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাদের বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিশ্চিহ্নের ধারাবাহিক তৎপরতার অংশ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূন্য করার এমন অপচেষ্টা ঘৃণ্য ও কাম্য নয়। এমন রাজনীতি দেশ ও জনগণ চায় না।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সন্ত্রাস ও বিএনপি সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের। মঞ্চ তৈরির অনুমতি না থাকায় একটি ট্রাকেই বানানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ।
বিকেল ৫টা ২ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২০ মিনিট পর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নামতে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ট্রাকের বাঁ পাশে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয় একটি গ্রেনেড। সঙ্গে সঙ্গেই বসে পড়েন তিনি। এসময় অন্য নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন।
এক-দেড় মিনিটের ব্যবধানে ঘটে ১৩টি বিস্ফোরণ। এসময় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ট্রাক থেকে নামিয়ে তার গাড়িতে তুলে দেন নেতারা। এরপর বৃষ্টির মতো শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সব বাধা পেরিয়ে ধানমন্ডির সুধা সদনে পৌঁছে যান তিনি। ভয়াবহ এই হামলায় মারা যান আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন কয়েকশো নেতা-কর্মী।
এখানেই শেষ নয়, আহতদের যখন হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন পাওয়া যায়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। ব্ল্যাড ব্যাংকে ছিল না রক্তও। জাতির পিতা ও চার নেতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকেই মুছে ফেলতে সুপরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়, বলছেন দলের নেতারা।
এরপর চলে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। হামলাকারীদের দেশের বাইরে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনাস্থলের আলামতও নষ্ট করা হয়। উদ্ধার হওয়া অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসেবে না রেখে করা হয় ধ্বংস।
ইতিহাসের জঘন্যতম এই রাজনৈতিক হামলার পর স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো দেশ। জজ মিয়াসহ চলে নানা নাটকীয়তা। পরে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও ১১ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।
/ই.হ/