বাবাকে দায়ী করে আত্মহত্যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২২, ০১:১৩ পিএমআপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৬:০১ পিএম
ফাইল ছবি
রাজধানীর দক্ষিণখানে ছাদ থেকে পড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে বাবাকে দায়ী করে সুইসাইড নোট লিখে গেছেন এই শিক্ষার্থী। তবে সানজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর বাবাই তাকে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার। দক্ষিণখান মোল্লারটেকের ওই ভবনে বাবা-মায়ের সাথেই বাস করতেন নিহত ওই তরুণী। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাবা শাহীন ইসলাম। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টারের টাকা চেয়েছিলেন বাবার কাছে। টাকা তো মেলেইনি, উল্টো মার খেতে হয়েছে বাবার হাতে।
২১ বছরের সানজানা মুসাদ্দীকা সেদিনই ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন ওই তরুণী। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন সানজানা। তার রুম থেকে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। যেখানে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় বাবা শাহীন ইসলামকে।
সেখানে লেখা রয়েছে বাবার নির্যাতনে বর্ণনা, এমনকি অন্য নারীর সঙ্গে বাবার অনৈতিক সম্পর্কের কথাও।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়, কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট, যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা'।
সানজানার মা, স্বজন ও সহপাঠীরা জানান, প্রায়ই তাকে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতো বাবা। এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড বলে দাবি তাদের ।
দক্ষিণখান থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া জানান , প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে ৫ বছর আগে শাহীন ইসলাম আরেকটি বিয়ে করলে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও দিতে চাইতেন না তিনি।
তিন ভাই বোনের মধ্যে সানজানা সবার বড়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষির শাস্তির দাবি স্বজনদের।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
সাত বছরে পা দিলো দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাপিনেস কোচ ও ব্রেইন ট্রেইনার কোচ কাঞ্চন একাডেমি। এ উপলক্ষে রোববার রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘আর্ন করি হ্যাপিনেস, ভাল রাখি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে...
সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ী কমবে বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মানুষ। জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণে (www.itvbd.com) এক অনলাইন জরিপের আয়োজন...
প্রায় ৮ লাখ পেনশনার ইএফটির মাধ্যমে মাসের প্রথম কর্মদিবসেই পেনশন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এ এইচ এম শামসুর রহমান। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার আওতায় শুদ্ধাচার...
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে বোমাগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম তথ্য পায় উলার প্যারিশ কাউন্সিল। এরপর ফেব্রুয়ারির শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজ শুরু হয়। মাটির নিচে এখনো অনেক...
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিস্টদের বিভিন্ন চক্রান্ত প্রতিরোধের দাবিতে বিএনপির ডাকা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। আজ...
বাবাকে দায়ী করে আত্মহত্যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর
এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার। দক্ষিণখান মোল্লারটেকের ওই ভবনে বাবা-মায়ের সাথেই বাস করতেন নিহত ওই তরুণী। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাবা শাহীন ইসলাম।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টারের টাকা চেয়েছিলেন বাবার কাছে। টাকা তো মেলেইনি, উল্টো মার খেতে হয়েছে বাবার হাতে।
২১ বছরের সানজানা মুসাদ্দীকা সেদিনই ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন ওই তরুণী। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন সানজানা। তার রুম থেকে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। যেখানে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় বাবা শাহীন ইসলামকে।
সেখানে লেখা রয়েছে বাবার নির্যাতনে বর্ণনা, এমনকি অন্য নারীর সঙ্গে বাবার অনৈতিক সম্পর্কের কথাও।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়, কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট, যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা'।
সানজানার মা, স্বজন ও সহপাঠীরা জানান, প্রায়ই তাকে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতো বাবা। এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড বলে দাবি তাদের ।
দক্ষিণখান থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া জানান , প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে ৫ বছর আগে শাহীন ইসলাম আরেকটি বিয়ে করলে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও দিতে চাইতেন না তিনি।
তিন ভাই বোনের মধ্যে সানজানা সবার বড়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষির শাস্তির দাবি স্বজনদের।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
/এস.আই/