প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০০ পিএমআপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৫ এএম
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া কয়েকটি ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা
বছরের শুরুটা হয়েছিল এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় অপরাধের ঘটনার সাহসী দৃশ্যায়ন দিয়ে। শেষটা হলো প্রেম ও কামের এক অপরূপ রসায়নে। এর মাঝে যেমন গোয়েন্দা গল্প ছিল, ছিল একলা এক নারীর সব প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়ার উপাখ্যান। সব মিলিয়ে ২০২২ সাল কনটেন্টের দিক থেকে বাংলা ওটিটির দুনিয়ায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় বছর ছিল বললে বাড়িয়ে বলা হয় না একেবারেই।
বছরের শুরু ও শেষের দিকটা রাঙিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। তবে মাঝের সময়টায় একের পর এক ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্র মুক্তি দিয়ে এগিয়ে ছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই। কনটেন্টের বৈচিত্র্যের দিক থেকেও এগিয়ে আছে হইচই।
‘শাটিকাপ’ সিরিজটির পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। বছরের শুরুতে পর্দায় একগুচ্ছ নবীন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নিয়ে যে গতিতে তিনি এক স্থানীয় অপরাধের গল্প বলেছেন, সেটি এ দেশের প্রেক্ষাপটে সত্যিই দুর্লভ। চরকি তার প্ল্যাটফর্মে এর গল্প সম্পর্কে লিখেছে, ‘হান্নান ও জয়নাল এলাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী সোহেলের একচেটিয়া আধিপত্যে বড়সড় কামড় বসায়। দুই ছিঁচকে চোর ধরার জন্য নিজের বিশ্বস্ত ইনভেস্টিগেশন অফিসার উত্তমকে কাজে লাগায় সোহেল। উত্তমের দলে শামিল হয় তারই সংস্থার অফিসার মাসুদ রানা, আসাদ, লিয়াকত ও বাবু নামের এক ছোট মাদক ব্যবসায়ী। সাপলুডুর মতো এক অদ্ভুত কাটাকুটি খেলার শুরু হয়। কে জিতবে এই খেলায়?’
এই হার-জিতের গল্পটিকে সত্যিই উপভোগ্য করে তুলতে পেরেছেন তাওকীর। স্থানীয় ভাষার ব্যবহার যেমন যথোপযুক্ত ছিল, তেমনি দুর্দান্ত ছিল ক্যামেরার কাজ। সাধারণত এ দেশীয় ওটিটির দর্শকেরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীকেন্দ্রীক গল্প দেখতে অভ্যস্ত, অপরাধের দৃশ্যায়নের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি। তবে সেই ধারায় দুর্দান্ত যতিচিহ্ন বসিয়েছে শাটিকাপ। এ দেশে যে গল্প আর প্লটের অভাব নেই, বরং পর্দায় ঠিকঠাক তুলে আনাটাই মূল চ্যালেঞ্জ – সেটিও ফের প্রমাণিত হয়েছে এই ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে।
ভিন্ন রকম গল্পের বয়ানে আলোচিত ছিল পরিচালক নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘পেট কাটা ষ’। বাংলার মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে নির্মিত এই অ্যান্থোলজি সিরিজ। মেকিং ও ক্যামেরার কাজে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকলেও একটি বা সর্বোচ্চ দুটি পর্ব বাদে বাকিগুলো ঠিক জুতসই হয়নি। সেই এক বা দুইয়ের মধ্যে অবশ্যই রাখতে হবে ‘ষ’-এর দ্বিতীয় এপিসোড ‘মিষ্টি কিছু’। আফজাল হোসেন ও চঞ্চল চৌধুরীর যুগল পারফরম্যান্সে ‘মিষ্টি কিছু’ ছিল সত্যিই মিষ্টি! সেই সাথে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন কাজী নওশাবা আহমেদ।
ভিকি জাহিদ পরিচালিত 'রেডরাম'
ওদিকে রহস্য-রোমাঞ্চ বা থ্রিলার ঘরানার প্রসঙ্গ উঠলে ‘রেডরাম’-এর উল্লেখ করতেই হয়। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে এই ছবিটি মুক্তি পায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ভিকি জাহেদের পরিচালনায় এই ছবিতে মূল দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও মেহ্জাবীন চৌধুরী। দুজনেই চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি। এক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর হঠাৎ মৃত্যুকে ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধে। এর পরই ধীরে ধীরে রোমাঞ্চের ঘেরাটোপে উন্মোচিত হয় যে, মিথ্যা আসলে ভুলভাবে বলা সত্য ছাড়া আর কিছুই না। তবে পুরো ছবিটিতে শেষে যেভাবে রহস্যের জট ছাড়ানো হয়েছে, তা দেখলে কিছুটা তাড়াহুড়ো আপনাকে তাড়া করতে পারে। এই জায়গাটিতে আরেকটু যত্নশীল হলে হয়তো ‘রেডরাম’ হয়ে যেত থ্রিলার ঘরানায় বছরের সেরা ওয়েব ফিল্ম।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই টানা তিন সিরিজে গেল বছরে হইচই ফেলেছে। সিরিজ ৩টি হলো – ‘সাবরিনা’, ‘কাইজার’ ও ‘কারাগার’।
সাবরিনা নামের ওয়েব সিরিজটি ‘বানিয়েছেন’ আশফাক নিপুণ। এর আগে একই প্ল্যাটফর্মে একই নির্মাতার ‘মহানগর’ মুক্তি পেয়েছিল। দুই ওয়েব সিরিজেই সাম্প্রতিক সময় বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে ফুটে ওঠে। মহানগর যেমন ক্ষমতা ও টাকার জোরের গল্প শোনায়, সাবরিনাও খানিকটা তেমনি। সাবরিনা-তে ক্ষমতা ও টাকার জোরের কাছে বলি হয় একজন নারী। তবে পুরো ওয়েব সিরিজটি দেখতে দেখতে বোধ হয়, এটি আসলে কোনো এক বা দুই নারীর গল্প নয়। বরং এ দেশের সব নারীই হয়তো জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে সাবরিনা হয়ে ওঠে।
ওয়েব সিরিজটিতে মেহজাবিন চৌধুরী নিজের অভিনয়ের চেনা ছক ভেঙেছেন। স্বচ্ছন্দ ছিলেন ইন্তেখাব দিনার, হাসান মাসুদ, রুনা খান ও ইয়াশ রোহান। আর অভিব্যক্তিতে অব্যক্ত সংলাপ আওড়ানোর খেলায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন নাজিয়া হক অর্ষা। স্বাভাবিকভাবেই তাই ‘সাবরিনা’র দ্বিতীয় সিজন দেখার উদগ্র আগ্রহ জেগে ওঠে প্রথম সিজন শেষের পর পরই।
সাবরিনার মতো প্রথম সিজনে গল্প অসমাপ্ত রাখেনি ‘কাইজার’। তবে তাই বলে এর নতুন সিজন দেখার আগ্রহ মরে যায় না। আর এতেই এই ওয়েব সিরিজের মূল চরিত্র এডিসি কাইজার চৌধুরীর চূড়ান্ত সফলতা। স্ট্রিমিং সাইট হইচই–এ গত ৮ জুলাই থেকে চলছে কাইজার চৌধুরীর প্রথম সিজনের অভিযান।
ওয়েব সিরিজটির মোট পর্ব নয়টি। একেকটি পর্বের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হয়েছে গল্পের খাতিরে। ফলে অহেতুক কখনো স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয়নি। ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যস্ত এবং ভিডিও গেম খেলায় চূড়ান্ত আসক্ত এক হোমিসাইড ডিটেকটিভের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। কাইজার চরিত্রটি অনেক বেশি বাস্তব, কোনো সুপারম্যান নয়। আর তাতেই সার্থকতা নিশ্চিত।
সিরিজটিতে ক্যামেরার কাজ দারুণ। প্রতিটি পর্বে কলাকুশলীদের নাম দেখানোর সময় সুপরিচিত পপ কালচার আর নব্বইয়ের দশকের ঢাকার ভিডিও ফুটেজের মিশ্রণ চোখের জন্য ছিল আরামদায়ক। মোদ্দা কথা, কাইজারে আরোপণ ছিল না একেবারেই। গল্প বা সংলাপের স্রোতেই সব চরিত্র এসেছে, আবার চলেও গেছে। আর এটাই কাইজারের চিত্রনাট্যের সবচেয়ে বড় গুণ। সিরিজটি নির্মাণ করেছেন তানিম নূর। তাঁর নির্মাণে যে মুনশিয়ানা ও পরিমিতিবোধ আছে, তা স্বীকার করতেই হবে। আর এ জন্যই দর্শক কাইজারের সিজন টু দেখার আশায় রইবেন, তা বলে দেওয়া যায়।
পরবর্তী পার্ট দেখার আশা তৈরি করেই অবশ্য জোর ধাক্কা খেয়েছে সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। গত ১৯ আগস্ট হইচই-তে মুক্তি পায় এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। গেল ডিসেম্বরের শেষে এলো পার্ট টু। তবে পার্ট ওয়ানে তৈরি রহস্যাবৃত আবহকে আর ধরে রাখা যায়নি পার্ট টু-তে। ‘কারাগার’-এর গল্প নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’ শেষের প্রশ্নটির অবতারণা হয় পার্ট ওয়ানে, বেশ ভালোভাবেই। চঞ্চল চৌধুরীর কুশলী অভিনয় এবং আফজাল হোসেন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তাসনিয়া ফারিণ ও ইন্তেখাব দিনারের যোগ্য সঙ্গতের কারণেই পার্ট ওয়ানে অনেক অমীমাংসিত রহস্যের জালের উদ্ভব হয়। ফলে দুই বাংলাতেই পার্ট ওয়ান হয়ে ওঠে উপভোগ্য ও জনপ্রিয়। কিন্তু পার্ট টু-তে আর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায়নি। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গল্প তাল হারিয়ে ফেলেছে। হ্যাঁ, এটি ঠিক যে গল্পের গরু একেবারে গাছে উঠে যায়নি। কিন্তু তাই বলে খুব একটা জুতসইও হয়নি।
এ ছাড়া বছরজুড়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া অন্যান্য সিরিজ ও ওয়েব ফিল্মের মধ্যে নাম শোনা গেছে ‘বোধ’, ‘দৌড়’, ‘দুই দিনের দুনিয়া’, ‘দাগ’, ‘নিখোঁজ’, ‘সিন্ডিকেট’, ‘এই মুহূর্তে’, ‘টান’, ‘শুক্লপক্ষ’ প্রভৃতির। কিন্তু কনটেন্টের বিচারে সার্থক হয়ে ওঠা হয়নি কারও।
সঞ্জয় সমাদ্দার পরিচালিত 'দাগ'
বিশবাইশের শেষটায় এক শান্ত-সুন্দর ছবি এঁকেছে ‘ক্যাফে ডিজায়ার’। পরিচালক রবিউল আলম রবির এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি-তে। ১২০ মিনিটের ছবিটি অনেকগুলো গল্পকে সমান্তরালে হাজির করে দর্শকদের সামনে। যদিও সবগুলো গল্পই দিনশেষে এক সুতোয় গাঁথা। পুরো ছবির গল্প বহতা নদীর মতো শান্ত ভঙ্গিমায় এগিয়েছে। ঢেউ আছে, তবে তা নদীর বহমানতাকে অস্বীকার করে হাজির করা হয়নি কখনো। এ জন্য ছবিটির গল্পের নির্মাতা শিবব্রত বর্মন কুর্নিশ পাওয়ার যোগ্য। গল্পকার ও পরিচালক দুজনে মিলে বানিয়েছেন চিত্রনাট্য। ফলে গল্পের বহমানতাকে অত্যন্ত সফলভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা গেছে। গল্পের আঙ্গিকেই কথা বলেছে ক্যামেরা। এতে করে চোখের আরাম হয়েছে বেশ। ছবিটির প্রায় ত্রুটিহীন গল্পের সুবিধা পেয়েছেন অভিনয়শিল্পীরাও। ইন্তেখাব দিনার বরাবরের মতোই দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। ওদিকে খায়রুল বাসার, সোহেল মন্ডল ও শ্যামল মাওলা যেন একে-অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন। আজাদ আবুল কালাম ক্ষণিকের উপস্থিতিতেও মন জুড়িয়ে দিয়েছেন। আলাদা করে বলতে হয় সানজিদা প্রীতির কথা। ছবির শেষ অর্ধেকে তার চরিত্র পাখনা মেলে। কিন্তু তাতেই বাজিমাত।
সব মিলিয়ে বলাই যায়, ২০২২ সালটি ছিল ওটিটির দুনিয়ায় বাংলাদেশি কনটেন্টের কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার বছর। আমাদের কনটেন্ট নির্মাতারা যে ওটিটির ভাষা বুঝতে শুরু করেছেন, সেটি এখন প্রমাণিত। এই শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে এদেশীয় কনটেন্ট আরও এগিয়ে যাবে, সেই স্বপ্নটি এখন দেখাই যায়।
সাত বছরে পা দিলো দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাপিনেস কোচ ও ব্রেইন ট্রেইনার কোচ কাঞ্চন একাডেমি। এ উপলক্ষে রোববার রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘আর্ন করি হ্যাপিনেস, ভাল রাখি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে...
সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ী কমবে বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মানুষ। জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণে (www.itvbd.com) এক অনলাইন জরিপের আয়োজন...
প্রায় ৮ লাখ পেনশনার ইএফটির মাধ্যমে মাসের প্রথম কর্মদিবসেই পেনশন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এ এইচ এম শামসুর রহমান। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার আওতায় শুদ্ধাচার...
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় তিন জেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার পর ডাকাত সাজিয়ে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। মোবাইলে সেই ভিডিও...
বিশবাইশে দেশের সেরা ওয়েব সিরিজ ও ফিল্ম কোনগুলো?
লিখেছেন: অর্ণব সান্যাল, ইনডিপেনডেন্ট টিভি
সাত বছরে পা দিল কাঞ্চন একাডেমি
সিগারেটের দামবৃদ্ধি চায় সাধারণ মানুষ
'বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' পেলেন তালাশের নাজমুল সাঈদ
ইএফটির মাধ্যমে মাসের শুরুতেই যাচ্ছে পেনশনের টাকা
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের লক্ষ জানালেন নাজমুল শান্ত
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে ছাত্রদের বিক্ষোভ
৩ জেলেকে পিটিয়ে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ, ছেড়ে দেওয়ায় থানা ভাঙচুরের চেষ্টা
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় রাজি আমেরিকা-রাশিয়া
এলাকার খবর
Copyright © Independent Television Limited