মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্যই বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদিনের সফরে গত মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তাঁর এই সফরে সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হলেও বিএনপির সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি।
সফরের শেষ দিন বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ও এ সম্পর্কে আস্থা ফেরাতেই তাঁর এ সফর। লু বলেন, ‘আমাদের লোকজনের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই, পেছনের দিকে নয়। ’
একই দিন বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গণফোরাম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার যে অবস্থান ছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (আমেরিকা) এতটুকুও খুশি না, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে। আপনারা জানেন যে, যে কোনো দেশেই কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে হয়। সে জন্য তারা এটা অব্যাহত রাখেন। এমনকি সামরিক শাসকদের সাথেও তাদের সম্পর্ক রাখতে হয়। তারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এটা তো এখনও অব্যাহত রেখেছেন।’
মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কি করে জানলেন যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে রয়েছে? মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্য পরিষ্কার। তিনি যে কথা বলেছেন, এরপর ফখরুল সাহেবের যে বক্তব্য, এ বক্তব্যের কোন মূল্য নেই।’
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজনে ১৭ই মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কাদের আরও দাবি করেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখে হিংসায় পুড়ে যাচ্ছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ৪৩ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা ও সৎ রাজনীতিকের নাম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে উন্নয়ন অর্জন ও আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ কোন মিল নেই।’