দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের পর আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা ছিল, দলের এমন নেতারা নির্বাচনে আসুক যাদের পরিবারে কোনো সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী নেই। সে লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দিয়ে বারবার সতর্কও করা হয়েছে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের।
এরপরও দলের নির্দেশ অমান্য করে মন্ত্রী-এমপিদের অনেক স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। দলের এ অবস্থান অনেক প্রার্থী ও প্রভাবশালী স্বজনদের ভাবিয়ে তুলেছিল। তবে গেল ২ মে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্তরে অনেকেই ভাবনামুক্ত হন।
তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের বিবেচনায় যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ি, তাদের একেবারে নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এদিকে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের স্বজনদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দলীয় নির্দেশনা কিছু জায়গায় মানা না হলেও নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না ক্ষমতাশীল দলটি।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, ‘কে কে নির্দেশনা মানেনি তা তাঁদের আমলনামায় লেখা হয়ে গেছে। শুধু যে বহিষ্কার করলাম, পদ থেকে সরিয়ে দিলাম এটাই তো শাস্তি না। পরবর্তী নির্বাচনে যদি মনোনয়ন না পান এটাও তো শাস্তি।’
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘আমেরিকার মতো দেশ থেকে ডোনাল্ড লু এখন বাংলাদেশে এসে ভিন্ন সুরে কথা বলছে। আর এই সামান্য উপজেলা নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ কিছুতেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে না।’
নেতারা মনে করেন, এতো কিছুর পরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদেরই জয়ের পাল্লা ভারী।
সংশ্লিষ্ট খবর:
- দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা এমপি-মন্ত্রীদের শাস্তি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ
- উপজেলা নির্বাচনে অবাধ্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সময়মতো সিদ্ধান্ত: কাদের
- দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের কারা মদদ দিচ্ছে খতিয়ে দেখবে আওয়ামী লীগ
- নির্দেশ না মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াদের তালিকা হচ্ছে: কাদের
- স্বজনদের প্রার্থী করছেন আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীরা, দলের হুঁশিয়ারি