বড় পরিসরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। সময় বেশি নিলে প্রতি বিপ্লবের আশঙ্কা বাড়ে বলেও মনে করেন তারা। বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
এসময়, রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্টে নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান বক্তারা।
‘সংকট থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমসাময়িক ইস্যুতে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন, গণতন্ত্রের বাইরে দেশে অন্য কোনো তন্ত্র-মন্ত্রের সুযোগ নেই।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘ক্ষমতার ছা-চল আর দেশি বিদেশি মিলিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রের রূপ দিতে চায়, মাইনাস টাইনাস ফর্মুলা আনতে চায় বাংলাদেশের মানুষ এটাকে একেবারে তুরি মেরে উড়িয়ে দেবে।’
বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারের উচিত ছিল শুধু নির্বাচন আয়োজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মনযোগ দেওয়া। দরকার ছিলো নিত্যপন্যের দাম হাতের নাগালে রাখা। এসময়, দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এই গণঅভ্যুত্থানের পরও কাউন্টার গণঅভ্যুত্থানও হতে পারে। নির্বাচন হলো একমাত্র সমাধান। সে সমাধানের দিকে আগানো উচিত। সরকারের ক্যানভাসটাকে ছোট করে নিয়ে আসা উচিত।’
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অতীতে স্বৈরাচার প্রচুর পুজি নিয়ে একটি দেশে বসে আছে। অপারেট করছে। ভাষণ দিচ্ছে। আমাদের তরুন ছেলেমেয়েরা রিঅ্যাক্ট করছে। আমি মনে করি রিঅ্যাকশনের দরকার ছিল না। তার একটা তৎপরতা থাকবেই বাংলাদেশের মধ্যে, আমাদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করার।’
এখন পর্যন্ত সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্তমান সরকারের অধিনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলেও মনে করেন বিএনপি নেতারা।