নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে তৃণমূল সাজাতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। যেখানে যুক্ত হতে পারবেন ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্য দলের সাবেক অভিজ্ঞ সদস্যরাও। দল সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কমিটি সাজাচ্ছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদও। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। এর আগে, আত্মপ্রকাশ হয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের।
জুলাই অভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রাখলেও দল দুটোর নেতৃত্বে থাকা তরুণদের অধিকাংশেরই নেই কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধনের শর্ত পূরণে তৃণমূল গোছাতে নজর দিচ্ছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পেতে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হয় যেমন এক-তৃতীয়াংশ জেলায় কার্যালয় লাগে, থানা বা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কার্যালয়ের বিস্তৃতি লাগে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দলে নানা বয়সী মানুষ, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, বয়োজ্যেষ্ঠ যাঁরা আছেন রাজনীতির সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলেন বা যুক্ত হতে চান সকলকেই আমরা দলে নিতে আগ্রহী।’
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, রাজনীতিতে নাম লেখাতে প্রতিদিন কার্যালয়ে আসছে নানা প্রান্তের মানুষ। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের পাশাপাশি সমাজের সৎ, রাজনীতি অভিজ্ঞ মানুষ খুঁজছে দলটি।
এদিকে গবেষণা ও কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা ১৪টি সাংগঠনিক বিভাগে সারা দেশ ভাগ করেছি। প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগে চার থেকে পাঁচটি জেলা থাকবে। প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগে নির্দিষ্ট সংখ্যক কমিটি মেম্বার থাকবেন।
আবু বাকের মজুমদার আরও বলেন, এনসিপির সঙ্গে আদর্শগত মিল থাকলেও সংগঠনটি তাদের ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তবে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নির্বাচনে এনসিপির প্রতি সমর্থন থাকতে পারে।
প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে আবু বাকের বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এর সমাধান হবে।