নতুন সংবিধান ছাড়া আসল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি গড়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আর সদস্যসচিব আখতার হোসেনের আশা-বহুদলীয় গণতন্ত্রে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি যেনো অংশ নিতে না পারে, সে পদক্ষেপ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ সোমবার বনানীতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সৌজন্যে আয়োজিত ইফতারে এসব কথা বলেন তারা।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনে কূটনীতিকদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরান, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, নরওয়েসহ প্রায় ৩০টি দেশের ঢাকায় নিযুক্ত প্রতিনিধিরা।
এ সময় কূটনীতিবিদদের কাছে জুলাই অভ্যুত্থানের নির্মম ভয়াবহতা তুলে ধরেন নেতাকর্মীরা। নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে কী বার্তা দিতে চান আগামী বাংলাদেশকে তা উঠে আসে আলোচনায়।
সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সমাজের পক্ষে। এসময় ফ্যাসিবাদী শক্তির দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান তার।
এদেশের তরুণদের বিশেষ করে জেনজিদের নজিরবিহীন ত্যাগের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে বলেও জানান এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও সাংবিধানিক পরিবর্তনে নাগরিকদের যে দাবি, সেখান থেকেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য এনসিপির জন্ম। শুধু একটি নতুন সংবিধানের মাধ্যমেই আমরা পারি আসল গণতান্ত্রিক রাষ্টের ভিত্তি গড়তে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাও দেশে বড় কাঠামোগত সংস্কারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।’
এদিকে, রোহিঙ্গাদের বোঝা এখনো এদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে উল্লেখ করে, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কার্যকর উদ্যাগ গ্রহণ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান নাহিদ ইসলাম।