সেকশন

সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Independent Television
 

তাসনিম জারার চিঠির জবাবে বললেন সারজিস

‘দাদা যা রেখে গেছেন, সেটা দিয়ে নির্বাচনও করতে পারব’

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের বিশাল গাড়িবহর নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চল সফরের ব্যাখ্যা চেয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সারজিসের উদ্দেশে খোলা চিঠিটি লেখেন তিনি। এর দেড় ঘণ্টার মধ্যে চিঠির জবাব দিয়েছেন সারজিস।

এনসিপি নেত্রীকে ‘প্রিয় তাসনিম জারা আপু’ সম্বোধন করে সারজিস আলম বড় এক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এতে তিনি অন্যান্য কথার পাশাপাশি উল্লেখ করেন, গাড়ি বহরের ভাড়া পরিশোধের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তার পরিবারের রয়েছে। দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে আগামী নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহ করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন সারজিস আলম। অবশ্য তাসনিম জারা তার খোলা চিঠিতেও সারজিসকে ‘প্রিয় সারজিস’ বলে উল্লেখ করেন।

তাসনিম জারাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সারজিস আলম লেখেন– আপনার খোলা চিঠির উত্তরের পূর্বে দুটি বিষয় বলতে চাই। প্রথমত, আমাদের চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা থেকে সবার আগে যে বিষয়টি বাদ দিতে হবে সেটি হচ্ছে- একজন নতুন করে জাতীয় রাজনীতিতে এসেছে মানেই তার পরিবার সহায়-সম্বলহীন, অসহায়, নিঃস্ব না। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতারা চাঁদাবাজি, লুটপাট করে এসব কাজ করেছে বলে, একই কাজ করে অন্যরাও সেটা করবে বিষয়টি তেমনও নয়। আমার এই মুহূর্তে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করার সামর্থ্য নেই মানে এই নয় যে আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের সেই সামর্থ্য নেই।

দ্বিতীয়ত, কতিপয় সোশ্যাল মিডিয়া বুদ্ধিজীবী তাদের জায়গা থেকে যেভাবে রাজনীতিকে কল্পনা করেন সেটা কোনো আদর্শ পৃথিবীর চিত্র হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো বৈচিত্র্যময় চিন্তাধারা ধারণকারী জনগণ সম্বলিত একটি দেশের এই মুহূর্তের চিত্র নয়। এমনকি বাংলাদেশের একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারের সাথে অন্য একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারেরও পুরোপুরি মিল নেই। তাই আমার চোখের সামনে আমার আসনে যা দেখছি সেটা দিয়ে অন্য আসনও তুলনা করা যায় না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগত অবস্থান বিবেচনায় সেই ইকুয়েশনগুলো ভিন্ন হয়।

সারজিস উল্লেখ করেন, আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই। কিন্তু নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা যেটা কল্পনা করি সেটা ছয় মাসের মধ্যে এপ্লাই করলে অলমোস্ট ৯৫+% ক্ষেত্রে জামানত হারানোর সম্ভাবনা থাকবে। তার মানে কি আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই না? অবশ্যই চাই।

কিন্তু সেটা কখনো ছয় মাসের ব্যবধানে ১৮০ ডিগ্রি উল্টে যাবে না, বরং সময়ের সাথে সাথে ১০%, ২০%, ৩০% এভাবে পরিবর্তিত হবে। এক সময় হয়তো শতভাগ নতুন বন্দোবস্ত দেখতে পাবো।

ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয়। আপনার প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করার জনবল এবং সামর্থ্য আপনার যদি না থাকে কিংবা আপনি দেখাতে না পারেন তাহলে মাঠের রাজনীতিতে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। অন্য নেতা তো দূরের কথা সাধারণ জনগণও আপনাকে গোনায় ধরবে না। কারণ মানুষ স্বভাবতই ক্ষমতামুখী। আমাদের যেমন নতুন বন্দোবস্তের দিকে যেতে হবে তেমনি মাঠের রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য পূর্বের যেই বন্দোবস্তগুলো চাইলেই এখনই ছুঁড়ে ফেলা সম্ভব নয় সেগুলো কেউ পাশে রেখে আপাতত চলতে হবে। যেদিন সেগুলোও ছুঁড়ে ফেলার সুযোগ আসবে সেদিন সেগুলোর ছুড়ে ফেলতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক বুদ্ধিজীবী তাদের যে আইডিয়াগুলোকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ দিয়ে স্টাবলিশ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দেখায়, তারা সেই প্রসেসে বাংলাদেশের এই মানসিকতার জনগণের কাছে- এই ইলেকশনে মাঠে নামলেও জামানত হারাবে, একই প্রসেসে ৫ বছর পরে ইলেকশন করলেও জামানত হারাবে।

তারা শুধু আপনার পিছেই লাগতে পারে কিন্তু কোন প্রসেসে আপনি মাঠে ইলেকশন করে জিতে আসতে পারবেন সেগুলো আপনাকে দেখাতে পারেনা। কিংবা দেখালেও অনেক ক্ষেত্রে সেগুলোর মাঠের বাস্তবতা নেই।

আমরা তো অনেকেই চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মামলা বাণিজ্য, হয়রানি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেললাম। কিন্তু এই অভ্যুত্থানেরই একটি অংশ আবার ওই একই কাজগুলো করছে। আটকাতে পেরেছেন কি? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আপনারা অনেকে কথাও বলতে পারছি না। আর বললেও তারা সে কথাকে কানে নেয় না। কথা বলতে পারছি সেই অল্প কিছু নতুন করে চিন্তা করা মানুষের বিরুদ্ধে যারা এখনো সেই কথা বলার স্পেসটা দেয় এবং সেই কথাগুলোকে রিসিভ করে।

এবার কিছু তিক্ত কথা বলতে চাই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন করতে হবে । এটা আবশ্যক। কিন্তু যতদিন না আমজনতা তাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করছে ততদিন আপনি সরাসরি নতুন চিন্তাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে গেলে সময়ের সাথে সাথে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। আপনি আজকে একটি আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিন। কাল থেকে সেই আসনের অসংখ্য মানুষ আপনার কাছে আসবে নানা তদবির নিয়ে আবদার নিয়ে। এর মধ্যে অনেক অনৈতিক চাওয়া থাকবে। আবার যাদের আবদার পূরণ করতে পারবেন না তারা আপনার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করবে। অথচ তারা একটিবারও ভাববে না আপনার সেই সামর্থ্য আছে কিনা, বিষয়গুলো ন্যায় সঙ্গত কিনা। তারা শুধু নিজের স্বার্থটা ভাববে। আপনি দিলে আছে, না দিলে নাই।

তার উপর এখন আপনার কোন অথরিটিও নাই। এক্ষেত্রে সরাসরি নতুন বন্দোবস্ত এপ্লাই করে দীর্ঘ মেয়াদে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার চেয়ে সাময়িকভাবে নতুন পুরনো মিশেলে এগিয়ে গিয়ে যদি আপনি একটি অথরিটি পান কিংবা নির্বাচিত হতে পারেন তখন বরং দীর্ঘমেয়াদে নতুন বন্দোবস্তের কালচার চালু করা এবং সেগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার সুযোগ বেশি থাকবে। আমি এটাকে মন্দের ভালো মনে করি।

আর আমার এলাকায় ফেরার সময় এত গাড়ি, এত মানুষ; তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং ভালোবাসা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করবে এবং আমাকে সঙ্গ দিবে এটা আমিও কল্পনা করিনি।

আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং জেলার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্ধেকের বেশি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। যেগুলোর ব্যয় আমাদের বহন করতে হয়নি। বাকি প্রায় ৫০টার মতো গাড়ির ৬ হাজার করে যে তিন লাখ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে তার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার পরিবারের আরও ৫০ বছর আগেও ছিল। এবং আমি বিশ্বাস করি অন্য কেউ না; শুধু আমার দাদা আমার জন্য যতটুকু রেখে গিয়েছেন, সেটা দিয়ে আমি আমার ইলেকশনও করে ফেলতে পারব ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ।

অন্তর্বর্তী সরকারে অধীনেই সংস্কার বাস্তবায়ন চায় গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে চলমান সংস্কারে ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর চেয়ে দেশকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন দলের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ সোমবার...
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১৩৮টির সঙ্গে একমত গণসংহতি আন্দোলন। আজ রোববার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ-কথা জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতাও চায় দলটি।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ‘এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) ড. রিয়াদ চৌধুরী ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সুবিধাভোগী এবং তারা অবৈধ সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি ও নওফেলের...
গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ইমাম কারাগারে মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ...
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দৈনিকটির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এতে পত্রিকার সম্পাদক,...
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরে গেছে ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসিদের নিয়েও সে ম্যাচ হেরে বসার পর গতকাল লিগে এফসি ডালাসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ডেভিড বেকহামের দল।...
লোডিং...

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.