নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দেখে বিস্মিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই বিস্ময়ের কথা জানান তিনি।
ফেসবুকে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। তাদের সুপারিশকৃত রিপোর্ট দেখে বিস্মিত।’
জামায়াত আমির আরও লিখেছেন, ‘দেশে যখন নৈতিকতার অভাবে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে উক্ত সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে তা সমাজকে অনিশ্চয়তা ও চরম অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিবে।’
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মূল্যবোধকে তছনছ করে দিবে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করবে।’
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে মোট ১৫টি বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব দেয় কমিশন।
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কমিশনের যেসব সুপারিশ এখনি বাস্তবায়নযোগ্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশও দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সেটা যেন আমাদের মাধ্যমে হয়ে যায়। আমরা যেন এই কাজের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি। পৃথিবীর মেয়েরা এটার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা এটা নিয়ে পর্যালোচনা করবে। অনুপ্রাণিত হবে। অন্য দেশের নারীরাও এটা নিয়ে আগ্রহী।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা শুধু নারীদের বিষয় নয় সার্বিক বিষয়। এই প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে। এটা পাঠ্যবইয়ের মতো বই আকারে ছাপা হবে। দলিল হিসেবে অফিসে রেখে দিলে হবে না, মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে দিতে হবে।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাবগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক ইউনূস।