জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১৩৮টির সঙ্গে একমত গণসংহতি আন্দোলন। আজ রোববার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ-কথা জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি জানান, ক্ষমতা কাঠামোকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে ভারসাম্য জরুরি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কারও চেয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এছাড়া, বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। সাংবিধানিক পদে নিয়োগের দায়িত্ব সাংবিধানিক কমিশনের অধীনে দেওয়ার দাবি তাদের।
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বিষয়ে মতামত রেখেছে গণসংহতি আন্দোলন। ক্ষমতা ব্যবস্থা পরিচালনার নিয়ম প্রতিষ্ঠাই এখন মূল বিষয়।
জোনায়েদ সাকি জানান, বিভিন্ন দল এবং অংশীজনদের সঙ্গেও বসবে গণসংহতি আন্দোলন। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেসব নিয়েই হবে জুলাই সনদ।
বৈঠকের শুরুতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংকট উত্তরণের জন্য প্রতিবেদন দিয়েছে সংস্কার কমিশন। যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে, তা ধরে রাখতে হবে।’
দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আলী রীয়াজ। এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জবাবদিহির সংস্কৃতি না থাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ঘটনা ঘটেছে। দ্বিমত থাকা বিষয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। ঐকমত্যের মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে চলতে হবে বলেও জানান জোনায়েদ সাকি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদের শাসককে পালাতে বাধ্য করেছে। এই ঐক্য বজায়ে রেখে সেটার যে চেতনা সেটাকে ধারণ করেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ‘সংসদ সদস্যরা যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের কথা আমরা তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি ক্ষমতা কাঠামোর ভারসাম্য এবং সংসদকে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা।’