অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে ‘আগামীর প্রধানমন্ত্রী’ বলে অভিহিত করেছেন দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন হাসনাত।
ওই পোস্টে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বসা একটি ছবি যুক্ত করেছেন হাসনাত। মূলত নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টটি করেন হাসনাত। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।’
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ফেসবুকে প্রেস সচিব লিখেছিলেন, ‘নাহিদ ইসলাম দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক চিন্তাধারার অধিকারী। তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। কিন্তু ইতোমধ্যেই তিনি একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে একটি গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন’।
তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে তিনি আরও কয়েক দশক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সৃষ্টিকর্তা জানেন, একদিন তিনি (নাহিদ) হয়তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম। গত বছর যখন কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন প্রাথমিকভাবে নাহিদ ততটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাহিদকে ‘অপহরণ’ করার পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়কের নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তাকে দু’বার আটক করা হয়।
আন্দোলনকারী ছাড়াও নাহিদ ইসলামের রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্টে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান নাহিদ ইসলাম। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তথ্য উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হন তিনি।