আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণের প্রথম ধাপ অর্জিত হয়েছে। বিএনপি নেতারা এ কথা বললেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে অবশ্য তাদের অংশগ্রহণ ছিল না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিএনপি প্রতিহিসংসার রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চায় না বলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি মাঠে নামেনি। যদিও আইনি প্রক্রিয়ায় গুম-খুনের বিচারের দাবি জানিয়েছে বার বার।
বিএনপিকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি তোলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমই এখন নিষিদ্ধ। জুলাই গণহত্যা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ৫ আগস্টের পর বার বার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠলেও তাতে সরাসরি সায় দেয়নি বিএনপি। ৮ মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ছাত্র সংগঠনগুলোর অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ছিল না বিএনপির।
অবশেষে, ১০ মে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায় বিএনপি। গণহত্যার দায়ে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিও তাদের।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, জনগণের অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার হরণ। লুটপাটের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। যার ফলে ছাত্র–জনতার অভ্যুথানে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন।
বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, একটি চাওয়া অন্তত পূর্ণ হলো যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। পরবর্তী চাওয়াগুলো সরকার পূর্ণ করবে।
আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিসংসার রাজনীতির পুনরা্বৃত্তি আর চাচ্ছে না বিএনপি। তাই গত ৯ মাসে পতিত দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধে সরাসরি বিএনপি কোনো সাড়া দেয়নি বলে মত বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, যেভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি, সেটার থেকে বিএনপি বের হতে চেয়েছে, এটা আমার ধারণা।
দিন শেষে ভোটের মাঠে বিএনপির জন্য অন্তবর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।