জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা কমিশনের একার কাজ নয়, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি সমন্বয়ে এটি করতে হবে।
আজ রোববার সকালে সংস্কার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন ড. আলী রীয়াজ।
এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা শেষ হবে। শিগগিরই দ্বিমত হওয়া বিষয়গুলো সমাধানের আশা করা যাচ্ছে।
সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সনদ হবে বলেও জানান আলী রীয়াজ।
আলোচনায় জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, শুধু দলকে কেন্দ্র করে নয়, সাধারণ মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার চায় জামায়াত। নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের। সেদিন জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে মত দেয় জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চার বছর মেয়াদের প্রস্তাব দিলেও জামায়াত চায় পাঁচ বছরই থাকুক। আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগে গত ২০ মার্চ ঐকমত্য কমিশনে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয় জামায়াতে ইসলাম।