নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের শর্ত পূরণের দাবি করেছে দলটি। চলতি মাসেই নিবন্ধনের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাগরিক পার্টিকে শহরকেন্দ্রিক না হয়ে তৃণমূলে দল গোছাতে হবে।
আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঘোষণার পর নির্বাচনমুখী তৎপরতা বাড়িয়েছে এনসিপি।
আত্মপ্রকাশের পর চার মাস পার করেছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল এনসিপি। দলটির নেতারা বলছেন, এখন লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়া। এরই মধ্যে ১০টি জেলা এবং ১০০টির বেশি উপজেলায় কমিটি দেওয়া হয়েছে। বাকি কমিটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে চলতি মাসেই।
জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শ্রেণীর মানুষকে যদি আমরা যুক্ত করতে পারি এবং তাদেরকে সংগঠিত করে যখন আমরা আগাতে পারব তখনই আসলে বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব।’
ঈদের ছুটিতে দলটির নেতাকর্মীরা এখন জেলা–উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘আমরা যেহেতু এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করছি। সেখানে দেখতে পারছি, বিপুল মানুষ আছেন যারা জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক। আমরা তাদের সাথে কানেক্টেড হওয়ার চেষ্টা করছি। যারা অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন পয়েন্টে, যে জায়গাগুলোতে অভ্যুত্থান হয়েছে সেই জায়গাগুলোতে নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ হাজির হচ্ছেন এবং তারা রেভ্যুলেশনারি ফোর্স হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাদেরকে কানেক্ট করার চেষ্টা করছি।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনসিপির নেতাদের এখন দল গোছানোর জন্য বেশি সময় দিতে হবে। শহর কেন্দ্রিক না হয়ে তৃণমূলে বেশি কাজ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তাদেরকে ঢাকা শহরের বাহিরে যেতে হবে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে যাওয়া। গ্রামে গঞ্জে চষে বেড়ানো। সমর্থক বাড়াতে হলে আপনাকে গ্রামেগঞ্জে যেতে হবে। এই কাজটা তারা ভাগ ভাগ করে করতে পারে।’
দলটির প্রতীকের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, প্রকৃতি এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০ টি প্রতীকের প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রতীক চূড়ান্ত হবে।