জবাবদিহি থাকে না বলে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনে বিএনপি একমত নয় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করি না, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে শুধুমাত্র অপসারণ হওয়াটা একটা শাস্তি। সকল সাংবিধানিক পদে যারা কর্মরত থাকবেন তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইনকে এই ভাবে সংযোজন করা উচিত, যার মধ্যে দিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে যারা কাজ করে তাদেরও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা হলে ভারসাম্য তৈরি হবে। নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করে আর একটি প্রতিষ্ঠান নয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। সুশাসনের জন্য ন্যায়পাল নিয়োগ করা যেতে পারে।’
এদিকে, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের আলোচনায় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন নিয়ে মত দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রাষ্ট্র সংস্কারে কার্যকর ও নিরপেক্ষ নিয়োগ পদ্ধতি-এনসিসি জরুরি বলে মনে করেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিয়োগে এনসিসি গঠনের পক্ষে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল একমত হলেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে ভিন্নমত দিয়েছে। তবে, এনসিসি গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
এনসিসি গঠনের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় এবি পার্টি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
এদিকে, লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠকের প্রতিবাদ জানিয়ে আগের দিনের বৈঠক বর্জন করলেও, আশ্বাস পেয়ে আজকের আলোচনায় অংশ নেয় জামায়াত ইসলামী। সব মিলিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোর বক্তব্যে স্পষ্ট—নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়া কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ নিয়ে আগামীকাল আবারও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর।