ছাত্রদলের বিক্ষোভ স্থগিত

সাবেক নেতাদের আশ্বাসে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়েছেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে বৈঠকে এ সমঝোতা হয়। এর আগে সকাল থেকে বেশকিছু দাবিতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে ছাত্রদলের একটি অংশ।

দেড় মাসের মধ্যে কাউন্সলি করে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব যে নেতাদের ওপর, তারাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তোপের মুখে।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেন ছাত্রদলের একাংশ। ভেঙ্গে ফেলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুত সংযোগ।

বিক্ষোভকারীদের বেশি ক্ষোভ দেখা যায় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করা রিজভীর ওপর। তাঁকে বের করতে একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সও নিয়ে আসে আন্দোলনকারীরা। এসময়, ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

আন্দোলন থামাতে দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান বিএনপি নেতারা। তাদের আশ্বাসের পরও শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। তবে একে বড় দলের স্বাভাবিক ঘটনা বলছেন নেতারা।

দিনভর নানা নাটকীয়তার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সমঝোতা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হবে এমন আশ্বাসে- প্রত্যাহার হয় আন্দোলন।

তবে দাবি আদায় না হলে আবারো আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধরা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর স্বাক্ষরিত ৩ জুনের প্রেস বিজ্ঞপ্তির জেরে ক্ষুদ্ধ হয় ছাত্রদলের একটি অংশ । ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০০ সালের আগে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

/এম-আই/