প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির শক্তিতে দারুন সব টুল ও ফিচার যুক্ত হচ্ছে নিত্য-ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি বেড়েছে বিড়ম্বনাও। সাইবার আক্রমণ তেমনই এক বিড়ম্বনা। তবে শুধু বিড়ম্বনা বললে ভুল হবে, কেননা সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে অনেককেই হারাতে হয়েছে সর্বস্ব।
সম্প্রতি জানা গেল, সাইবার আক্রমণের কারণে বিগত ৫ বছরে ৫৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে ব্রিটেনের ব্যবসায়ীদের। সোমবার যুক্তরাজ্যের অন্যতম বড় বীমা ব্রোকার হাউডেন এ তথ্য জানিয়েছে।
হাউডেন আরও জানিয়েছে, ব্রিটেনের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫২ শতাংশই গত ৫ বছরে অন্তত একবার হলেও সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ১.৯ শতাংশ রেভিনিউ হারিয়েছে বা তাদের আয় কম হয়েছে। উল্লেখ্য, বছরে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বা তার বেশি আয় করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার অ্যাকাট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশের ই-মেইল বেহাত বা কমপ্রোমাইজড্ হয়েছে এবং ডেটা চুরি হয়েছে ১৮ শতাংশের। তবে এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোও পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে মাত্র ৬১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। এমনকি নেটওয়ার্ক ফায়ারওয়ালস ব্যবহার করেছে মাত্র ৪৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর দুটি উপায় হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে আভ্যন্তরীণ আইটি রিসোর্স না থাকা।
বীমা ব্রোকার হাউডেন-এর ইউকে সাইবার রিটেইল প্রধান সারাহ্ নেইলড বলেছেন যে, সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিতে সচেষ্ট আছে সাইবার অপরাধীরা।
উল্লেখ্য, ইউকে’র ৯০৫টি প্রাইভেট আইটি প্রতিষ্ঠানের উপর পরিচালিত এক জরিপ থেকে সাইবার আক্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ পেয়েছে হাউডেন। গত সেপ্টেম্বরে জরিপটি পরিচালনা করে ইউগভ।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স