মাইক্রোসফট তাঁদের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট কোপাইলটের জন্য স্বতন্ত্র অ্যাপ নিয়ে এসেছে অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেমে। জেনারেটিভ এআই-ভিত্তিক বিনামূল্যের এই টুলটি ব্যবহার করে গ্রাহকরা বিভিন্ন কাজ সহজেই, অতি অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে পারে, যেমনটা চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনি’র মতো চ্যাটবটগুলোতে করা যায়।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এআই অ্যাসিসট্যান্ট টুল হিসেবে কোপাইলটকে সামনে নিয়ে আসে মাইক্রোসফট। তবে শুরুতে কেবলমাত্র এজ, ক্রোম, ফায়ারফক্স ও সাফারি’র মতো ওয়েব ব্রাউজারেই অ্যাক্সেস করা যেত এই চ্যাটবটটি। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরুতে কোপাইলটকে স্বতন্ত্র অ্যাপ হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ও আইপ্যাডওএস-এ চালু করে মাইক্রোসফট। পাশাপাশি মাইক্রোসফট ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন অ্যাপ যেমন টিম, আউটলুকেও সমন্বিত আছে কোপাইলট টুলটি।
এবারে অ্যাপলের ম্যাকওএস ডিভাইস ব্যবহারকারীরাও অ্যাপ হিসেবে দেখতে পাবেন কোপাইলটকে। এতদিন ম্যাক পিসি ব্যবহারকারীদেরকে সাফারি ব্রাউজার দিয়েই অ্যাক্সেস করতে হতো মাইক্রোসফট কোপাইলট। এবারে কোপাইলট অ্যাপটিই ডিভাইসে পেয়ে যাবেন তারা। ফলে কোপাইলট এখন আক্ষরিক অর্থেই তাদের কাছ থেকে এক ক্লিক দূরে অবস্থান করছে।
ম্যাকওএস অ্যাপ হিসেবে কোপাইলটের আগমনের বিষয়টি মাইক্রোসফট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাইক্রোসফট জানায়, ‘অপেক্ষার পালা শেষ- আমরা অবশেষে ম্যাকওএসে সময় কাটাতে পারব!
কোপাইলট টুলটি দিয়ে ইমেইল ড্রাফট করা থেকে শুরু করে ডকুমেন্টের সারসংক্ষেপ তৈরি করা, কভারলেটার লেখাসহ ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব। ডাল-ই ৩ (ডাল-ই থ্রি)-ভিত্তিক একটি ইমেজ জেনারেটরও রয়েছে এই এআই টুলটিতে।
কোপাইলটের ম্যাকওএস অ্যাপ ব্যবহারে যা প্রয়োজন
মাইক্রোসফটের কোপাইলট অ্যাপটি ব্যবহার করতে প্রয়োজন হবে ম্যাকওএস ১৪ বা তার পরবর্তী কোনো ভার্সন এবং অ্যাপলের এম১ (এম ওয়ান) বা তার চেয়েও উন্নত চিপসমৃদ্ধ কোনো ম্যাক ডিভাইস। উল্লেখ্য, অ্যাপলের নিজস্ব এআই সিস্টেম, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স, ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় ম্যাকওএস ১৫.১ অপারেটিং সিস্টেম এবং এম১ বা তার পরবর্তী প্রজন্মের চিপ রয়েছে এমন কোনো ম্যাক পিসি।
কোপাইলটে যুক্ত হয়েছে ‘ভয়েজ’ ও ‘থিঙ্ক ডিপার’ ফিচার
গত মাসের শেষ দিকে মাইক্রোসফট তাঁদের কোপাইলট চ্যাটবটের নতুন দুটি ফিচারের ঘোষণা দিয়েছে। কোপাইলট ব্যবহারকারীরা এখন বিনামূল্যে ‘ভয়েজ’ ও ‘থিঙ্ক ডিপার’ ফিচার দুটি ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি ফিচার দুটি ব্যবহারে কোনো সীমাবদ্ধতাও নেই। ফিচার দুটির সুবিধা কী?
‘ভয়েজ’ ফিচারটির কল্যাণে কোপাইলট টুলটি ব্যবহার করে নতুন ভাষা শেখার জন্য অনুশীলন করা যাবে। অপরদিকে ওপেনএআই’র ০১ মডেল-ভিত্তিক ‘থিঙ্ক ডিপার’ ফিচারটি ব্যবহার করে জটিল বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ, এক্স