মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন পাল্টা শুল্কনীতির ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। গত ৩-৪ দিন ধরে বিভিন্ন খাতের বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট প্রতিষ্ঠান, উৎপাদক ও নির্মাতা থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা, সকলের ওপরেই কম-বেশি এর প্রভাব পড়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় ওপরের দিকেই আছে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ খ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজ থেকে ঘোষিত নতুন এই শুল্কনীতিতে সকল পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ সার্বজনীন শুল্কের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ওপর বিভিন্ন মাত্রার পাল্টা শুল্ক (রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপের কথা জানান ট্রাম্প। ইতোমধ্যেই (শনিবার) কার্যকর করা হয়েছে ১০ শতাংশ সার্বজনীন শুল্ক। আর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে ৯ এপ্রিল (বুধবার) থেকে।
ট্রাম্পের এই বিতর্কিত শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ফলে শেয়ার বাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে শেয়ার বাজারে দু’দিনের মধ্যে ৬ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার খুইয়েছে ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিষ্ঠানগুলো। সার্বিকভাবে ২০২০ সালের করোনাকালীন সময়ের পর সবচেয়ে খারাপ একটি সপ্তাহ কাটালো ওয়াল স্ট্রিট।
কেমন আছে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’?
‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ বিখ্যাত একটি ওয়েস্টার্ন অ্যাকশন সিনেমা। তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ বলতে শেয়ার বাজারে শীর্ষ ৭টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। এরা হচ্ছে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া, অ্যালফাবেট (গুগল), মেটা (ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ) ও টেসলা।
প্রযুক্তি বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারকারী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটিতেই কম-বেশি প্রভাব পড়েছে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির। ডাও জোন্সের মার্কেট ডেটা বলছে, ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে গত এক সপ্তাহে ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি হারিয়েছে শেয়ার বাজারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় অংকটা ১ কোটি ৯৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি!
অ্যাপল
‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাপল। ইতোমধ্যেই তাঁদের বাজারমূল্য হ্রাস পেয়েছে ৪৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ এপ্রিলের নাসডাক ১০০ সূচকের চার্ট বলছে, অ্যাপলের শেয়ারদর পাঁচ দিনে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালের মার্চের করোনাকালীন সময়ের পর এতো বড় দরপতন হয়েছে অ্যাপলের শেয়ারে।
অ্যাপলের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আইফোন, ম্যাকবুকসহ তাঁদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন সহযোগী দেশগুলোর ওপর ট্রাম্পের উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত। অ্যাপলের উৎপাদন সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে চীন। পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর চীন থেকে আইফোন, ম্যাকবুক আমদানি করতে হলে অ্যাপলকে গুণতে হবে ৫৪ শতাংশ শুল্ক।
একই অবস্থা অ্যাপলের অন্যান্য উৎপাদন অংশীদারদেরও। ক্যাম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ওপর ৩৭ শতাংশ, এবং ভারত ও মালয়েশিয়ার ওপর যথাক্রমে ২৭ ও ২৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প সরকার।
ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়াস্বরুপ চীনও ইতোমধ্যেই আমেরিকান পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে ৫৪ শতাংশ এবং চীনে পণ্য রপ্তানিতে ৩৪ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে অ্যাপলকে। উল্লেখ্য, অ্যাপলের জন্য চীন কেবলমাত্র উৎপাদন সহযোগীই দেশই নয়, অ্যাপল পণ্যের অন্যতম বড় বাজারও এশিয়ার বড় অর্থনীতির এই দেশটি। সার্বিকভাবে পাল্টা শুল্কনীতির প্রভাবে আইফোনের মতো অ্যাপলের জনপ্রিয় সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এনভিডিয়া
২০২৪ সালটি দুর্দান্ত কেটেছে শীর্ষ এআই চিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার। অ্যাপল, অ্যামাজনের সাথে একেবারে সমানে সমান টক্কর দিয়েছে জেনসেন হুয়াংয়ের প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তাঁরাও ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঝড় এড়াতে পারেনি। নাসডাক ১০০ সূচকের ৪ এপ্রিলের চার্ট অনুযায়ী শেয়ার বাজারে ৫ দিনে ১৪ শতাংশ কমেছে তাঁদের বাজারমূল্য।
আপাতত সেমিকনডাকটর বা চিপ পাল্টা শুল্কের আওতার বাইরে থাকলেও অচিরেই এর ওপর শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। আর এমনটা হলে তাইওয়ানের টিএসএমসি থেকে এআই সক্ষমতার ব্ল্যাকওয়েল চিপস তৈরি করিয়ে আনতে মোটা অংকের আমদানি শুল্ক দিতে হবে এনভিডিয়াকে। উল্লেখ্য, তাইওয়ানের ওপর ৩২ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ধার্য করেছে আমেরিকা।
তবে সেমিকনডাকটর ও ফার্মাসিউটিক্যালসের (ওষুধ) মতো পণ্যের ক্ষেত্রে সকল দেশের ওপর একই হারে হারে শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ঠিক যেমনটা তাঁরা করেছে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ির ওপর।
অ্যামাজন
ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনও ভালোই টের পাচ্ছে নতুন শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব। নাসডাক সূচক বলছে, শেয়ার বাজারে ৫ দিনে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৈশ্বিক সরবরাহ চেনের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল অ্যামাজন, ফলে ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব অ্যামাজনের বিভিন্ন পণ্যের ওপর পড়বে এটাই স্বাভাবিক। নতুন শুল্ক কার্যকর হলে অ্যামাজনের ব্যবসাও ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেই ধারণা করছেন বিনিয়োগকারীরা। আর এ কারণেই তড়িঘড়ি করে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন শেয়ারহোল্ডাররা।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এআই গবেষণায় সামনের সারিতেই আছে অ্যামাজন। তাঁদের ফুলফিলমেন্ট সেন্টারগুলোতে এআই সক্ষমতার রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। এছাড়া জেনারেটিভ এআই’তেও তাঁদের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। নতুন শুল্কের প্রভাবে এআই প্রযুক্তির খরচ বেড়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে অ্যামাজনের এআই পরিকল্পনাতেও।
মাইক্রোসফট
‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাইক্রোসফট। এর কারণ তাঁরা মূলত সফটওয়্যার নির্মাতা, ফলে অ্যাপলের মতো ‘ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট’ তৈরি ও বিক্রির ঝামেলা নেই তাঁদের। পাশাপাশি তাঁদের গ্রাহকদের একটি বড় অংশই হচ্ছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ এন্টারপ্রাইজ কাস্টমার, যাদের সাথে মাইক্রোসফটের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে মাইক্রোসফটের মোট আয়ের একটি বড় অংশ (৪৩ শতাংশ) এসেছে ক্লাউড ব্যবসা থেকে।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির সরাসরি প্রভাবের বাইরেই থাকছে মাইক্রোসফটের মূল ব্যবসা। তবে এআই খাতে বিনিয়োগে নয়া শুল্কের প্রভাব ঠিকই টের পাবে মাইক্রোসফট। তাছাড়া শুল্কনীতির প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি হলে বাজারে চাহিদা কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শুল্কনীতির পরোক্ষ প্রভাব এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
নাসডাক ১০০ সূচকের (৪ এপ্রিলের) তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ৫ দিনে মাইক্রোসফটের শেয়ার মূল্য ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
মেটা
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা’র শেয়ারেও উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে। গত ৪ এপ্রিলের নাসডাক ১০০ সূচকে দেখা যায়, ৫ দিনে মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে দরপতন হয়েছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ‘শুল্ক যুদ্ধ’ শুরু হলে মেটার বিজ্ঞাপন থেকে আসা আয়ে টান পড়তে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই শেয়ার হোল্ডাররা মেটার শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ফলে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট না হওয়া স্বত্বেও দু অংকের (ডাবল ডিজিট) দরপতন হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে।
অ্যালফাবেট
গুগলের মালিক প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটেরও ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট কম। তাই ট্রাম্পের নতুন শুল্কের ঝড়টা মাইক্রোসফটের মতো তুলনামূলক কমই উপলব্ধি করতে পেরেছে এই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট। নাসডাক ১০০ সূচকের তালিকায় দেখা গেছে, ৫ দিনে তাঁদের শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। অবশ্য আসছে দিনগুলোতে চিত্রটা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তাঁদের আয়ের বড় একটি অংশ হচ্ছে অনলাইন বিজ্ঞাপন। নতুন শুল্কের সরাসরি প্রভাবে বাজারে মূল্যস্ফীতিজনিত চাহিদার সংকোচন হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাল্টা শুল্কনীতির পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বিজ্ঞাপনের বাজারেও।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে গুগল বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করেছে এআই খাতেও। তাঁদের জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির চ্যাটবট ‘জেমিনি’ বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। শুল্কের প্রভাবে ডেটা সেন্টার তৈরির খরচ বেড়ে গেলে সার্বিকভাবে এআই বিনিয়োগেও ক্ষতির সম্মুখীন হবে গুগল। তবে গুগলের পিক্সেল ফোনের মতো ফিজিক্যাল প্রোডাক্টে শুল্কের সরাসরি প্রভাব পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
টেসলা
টেসলা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই বিপাকে পড়েছেন সিইও ইলন মাস্ক। সদ্যই জানা গেছে, বছরের প্রথম তিন মাসে টেসলার বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ১৩ শতাংশ। এরপর থেকেই তাঁদের শেয়ারে দরপতন শুরু হয়। গত ৪ এপ্রিলের নাসডাক ১০০ সূচকের তালিকায় টেসলার শেয়ারদর ৫ দিনে ৯ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার চিত্র উঠে আসে।
টেসলার সামনে চ্যালেঞ্জ অনেকগুলো। ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির প্রভাবে আমদানি ও রপ্তানি দুই ক্ষেত্রেই চড়াহারে শুল্ক গুণতে হতে পারে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিকে। গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানি করতে ২৫ শতাংশ শুল্ক দেওয়ার পাশাপাশি চীনের বাজারে গাড়ি বিক্রি করতে দিতে হবে ৩২ শতাংশ শুল্ক। ফলে টেসলার অবস্থা অনেকটাই অ্যাপলের মতো। বলা যায়, দু’পাশেই ধারালো এমন একটি তরবারির ওপর দাঁড়িয়ে আছে মাস্কের এই প্রতিষ্ঠানটি।
টেসলার জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইলন মাস্কের পড়তি জনপ্রিয়তা। ক্রমশই এক বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত হচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের এই ব্যক্তি। ট্রাম্প সরকারের নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে সরকারি খরচ হ্রাস করার মতো বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই নিয়েছেন তিনি।
সার্বিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে আমেরিকাজুড়েই। ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরোধিতা করে রাস্তায় নামা বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাস্কের বিরুদ্ধেও, যদিও শুল্কনীতিতে তাঁর পরোক্ষ কোনো ভূমিকা আছে কি-না তা এখনও পরিষ্কার নয়।
অর্থাৎ, মাস তিনেক আগেও যে ইলন মাস্ক ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় সম্পদ, তিনিই যেন ক্রমে হয়ে উঠছেন গলার কাঁটা। গত কয়েক মাসে মাস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরুপ টেসলার গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার দৃষ্টান্ত যেমন তৈরি হয়েছে তেমনি শুধুমাত্র মাস্কের ওপর ক্ষোভ থেকে টেসলার গাড়ি কেনেননি এমনও গ্রাহকেরও দেখা মিলেছে। শেয়ারহোল্ডার মধ্যে কেউ কেউ এমনকি প্রতিষ্ঠানের সিইও’র পদটি মাস্কের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। সার্বিকভাবে দেখলে, একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা টেসলার।
তথ্যসূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফরচুন, ইয়াহু ফাইন্যান্স, বিবিসি