আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র বাজেট উল্লেখযোগ্যহারে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। এই সিদ্ধন্তের সমালোচনা করে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিষয়টিকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়েছেন শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতির পর এবার নাসার বাজেট ইস্যুতেও সরকারের সাথে ভিন্নমত পোষণ করলেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইলন মাস্ককে। উল্লেখ্য, নাসা’র সবচেয়ে বড় ঠিকাদারদের (কনট্রাকটরদের) একটি হচ্ছে মাস্কের মহাকাশযান নির্মান প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম আর্স টেকনিকা’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হোয়াইট হাউসের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট অফিসের তৈরি করা খসড়া বাজেট প্রস্তাবনায় নাসার সামগ্রিক বাজেট প্রায় ২০ শতাংশ এবং তাঁদের বিজ্ঞানবিষয়ক তহবিল ৫০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়া বাজেট প্রস্তাবনায় নাসার বাজেট সঙ্কোচন প্রসঙ্গে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আমি বিজ্ঞানের খুব বড় একজন সমর্থক, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নাসার বাজেট আলোচনায় অংশ নিতে পারছি না, কেননা স্পেসএক্স হচ্ছে নাসার প্রধান ঠিকাদারদের একটি।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর বিভিন্ন মাত্রার পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক কার্যকর ৯০ দিনের জন্য স্থগিতও করেন তিনি, যেখানে একমাত্র ব্যতিক্রম চীন। ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতিরও সমালোচনা করেছেন ইলন মাস্ক। বিশেষ করে শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্পের শীর্ষ বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সরকারের নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন ইলন মাস্ককে। সরকারি খরচ কমানোই এই বিভাগের মূল উদ্দেশ্য। মাস্কের নেতৃত্বে বিভাগটি ইতোমধ্যেই বড় আকারে কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে ব্যয় সঙ্কোচনের মতো বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকারি খরচ হ্রাস করতে সফল হওয়ায় প্রায়শই মাস্কের প্রশংসা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে নয়া শুল্কনীতি ও নাসা’র বাজেট কমানোর প্রস্তাবনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বের গোঁড়ায় যে ব্যবসায়িক স্বার্থ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তথ্যসূত্র: পলিটিকো