গুগলের এআই চ্যাটবট ও অ্যাসিসট্যান্ট জেমিনি এবার হারিয়ে দিয়েছে জনপ্রিয় ভিডিও গেম পোকেমনকে। গতকাল শনিবার (৩ মে) গেইম লাইভস্ট্রিম প্ল্যাটফর্ম টুইচে দেখা গেছে, জেমিনি ২.৫ প্রো মডেলটি পোকেমন ব্লু ভার্সন সম্পন্ন করেছে। বিজয়ের আনন্দ শেয়ার করে গতকালই নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই।
জোয়েল জে নামের ৩০-বছর-বয়সী একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার টুইচ প্ল্যাটফর্মে তৈরি করেন জেমিনি’র পোকেমন খেলার এই চ্যানেলটি। এই লাইভস্ট্রিম চ্যানেলটিতেই পোকেমন ব্লু সফলভাবে সম্পন্ন করতে দেখা যায় জেমিনি’র ২.৫ প্রো মডেলকে।
অবশ্য এই সাফল্য অর্জনে জোয়েল জে’র সহায়তা নিতে হয়েছে গুগল জেমিনিকে। কিন্তু তা স্বত্বেও জেমিনি এআই’র সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। গত মাসেই গুগল এআই স্টুডিও’র প্রোডাক্ট লিড লোগান কিলপ্যাট্রিক দাবি করেছেন যে, পোকেমন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে জেমিনি’র দারুন অগ্রগতি হয়েছে এবং এর পঞ্চম ব্যাজ অর্জন করেছে।
এক্স প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা নিজের পোস্টে সুন্দর পিচাই মজা করে লিখেছেন যে, ‘আমরা এখন কাজ করছি এপিআই নিয়ে, আর্টিফিশিয়াল পোকেমন ইন্টেলিজেন্স।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে অ্যানথ্রপিক দাবি করেছিল যে, তাঁদের ক্লদ এআই মডেলগুলোকে পোকেমন রেড খেলায় দারুন অগ্রগতি দেখাচ্ছে। বিশেষ করে ক্লদ এআই মডেলগুলোর উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে পোকেমনের মতো গেম বেশ কাজে দিচ্ছে। এটি খেলায় সময় এআই মডেলগুলোকে বেশি বেশি চিন্তা করতে হয় এবং অপ্রত্যাশিত কাজের সম্মুখীন হতে হয়, ফলে এআই এজেন্ট প্রশিক্ষণে এটি বেশ কার্যকর।
উন্নতি স্বত্বেও অ্যানথ্রপিকের ক্লদ এআই মডেলগুলো পোকেমন রেড ভার্সন পুরোপুরি সম্পন্ন করেছে বলে জানা যায়নি। সে তুলনায় গুগলের জেমিনি ২.৫ প্রো মডেলটি ইতোমধ্যেই পোকেমন ব্লু সম্পন্ন করেছে, ফলে ক্লদের থেকে এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েই আছে জেমিনি।
তবে পোকেমন খেলার ওপর ভিত্তি করে দুটি এআই মডেলের সক্ষমতা তুলনা করার বিপক্ষে মত দিয়েছেন জোয়েল জে। কেননা এ ধরণের গেমগুলো খেলায় মানুষেরও (যেমন: ডেভেলপারদের) হস্তক্ষেপ থাকে। তবে বিষয়টিকে ‘প্রতারণা’ হিসেবেও দেখছেন না তিনি। তাঁর মতে, ‘আমার হস্তক্ষেপ জেমিনির সামগ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণের সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।’
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ, এক্স